রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে আজারবাইজানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, তদন্তে নতুন মোড়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
বুধবার কাজাখস্তানের আকতাও শহরে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে এ দুর্ঘটনার পেছনের রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে উড়োজাহাজটিকে লক্ষ্যবস্ত করেছে রাশিয়া। যার কারণে এতো মানুষের প্রাণহানি।
এদিকে উড়োজাহাজ দূর্ঘটনা নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত শুরু আজারবাইজান ও কাজাখস্তান। আজারবাইজানের তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল সর্ম্পকে চারটি সূত্র বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজকে ভূপাতিত করেছে।
কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ৬২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনির দিকে যাত্রা করে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জে২-৮২৪৩। যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ৬ জন কাজাখস্তানের, ৩ জন কিরগিজস্তানের ও ১৬ জন রাশিয়ার নাগরিক ছিলেন।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া প্রাথমিকভাবে জানায়, উড়োজাহাজটি একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে জরুরি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আকতাউ শহরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর তাতে এ দুর্ঘটনা সৃষ্ট হয়।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় রাশিয়ার দিকে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের।
এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাজাখস্তানে রাশিয়াগামী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে অনুমাননির্ভর তথ্য প্রচারের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যে কোনো উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা বিশেষায়িত উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত। বর্তমানে একটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। এই তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’