কুর্দি যোদ্ধাদের কবর রচনার হুঁশিয়ারি এরদোগানের
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
সিরিয়ায় কুর্দি সশস্ত্র যোদ্ধারা হয় অস্ত্র সমর্পণ করবেন, নয়তো তাদের কবর রচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তিনি বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী খুনিরা হয় তাদের অস্ত্রকে বিদায় জানাবেন, নয়তো সিরিয়ার মাটিতে অস্ত্রসহ তাদের কবর দেওয়া হবে।বুধবার প্রেসিডেন্ট এরদোগান পার্লামেন্টে তার ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের বৈঠকে এসব কথা বলেন।
এরদোগান আরও বলেন, যে সন্ত্রাসী সংগঠন আমাদের ও আমাদের কুর্দি ভাইদের মধ্যে রক্তের প্রাচীর তৈরির চেষ্টা করছে, আমরা সে সংগঠনকে নির্মূল করব।তুরস্ক তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।
বৈঠকে তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা (সিরিয়ার) আলেপ্পো, দামেস্ক, হামা, হোমস, দারা এবং মানবিজে স্বাধীন সিরিয়ার পতাকা আমাদের অর্ধচন্দ্র ও তারকা খচিত পতাকার পাশে দেখি, আমরা আনন্দিত হই’।
বাশার আল–আসাদের পর পতনের পর থেকে কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজিকে বিলুপ্ত করতে বারবার জোর দিয়ে আসছে তুরস্ক। ভবিষ্যতে সিরিয়ার মাটিতে তাদের কোনো জায়গা হবে না বলেও দাবি করেছে দেশটির সরকার। এখন সিরিয়ায় শাসনক্ষমতার পালাবদলে দেশটির প্রধান কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বিপাকে পড়েছে।
ওয়াইপিজি মিলিশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) প্রধান অংশ ও নিষিদ্ধ মিলিশিয়া গোষ্ঠী কুর্দি ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিত রূপ হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে।
পিকেকে গোষ্ঠীটি মূলত সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয়। দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি। এদের আক্রমণে গত কয়েক দশকে প্রায় ৪০,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
তুরস্ক এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেন এরদোগান।