কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখনো পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

বুধবার কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

কাজাখস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মাঝ আকাশে একঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল বিমানটির। তারপরেই নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেও প্রথমে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির কথা বলা হয়। পরে অবশ্য বিমান সংস্থাটি জানায়, তারা এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাবে না।

এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে দুর্ঘটনার ঠিক আগের এবং পরের মুহূর্তের কিছু ভিডিও। এক যাত্রী প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা বাঁচার জন্য প্রার্থনা করছেন। ঝাঁকুনির জেরে অনেকেই আসন থেকে পড়ে গেছেন। 

রুশ সংবাদমাধ্যম ‘আরটি’-র একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন যাত্রীর মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। কেউ কেউ বিমান থেকে নামার জন্য চিৎকার করছেন। যদিও এই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। 

বিমানটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ওই বিমান। কিন্তু মাঝ আকাশে পাইলট খবর পান, গ্রজনিতে ঘন কুয়াশা রয়েছে। তাই সেখানে বিমান অবতরণে সমস্যা হতে পারে। এরপর কাজাখস্তানের আকতুতে ওই বিমানের জরুরি অবতরণ করানোর চেষ্টা করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান।

কাজাখস্তান সরকার জানায়, কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে বিমান ভেঙে পড়ার পর যে আগুন লেগেছিল, দমকলকর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারপর বিমানের মধ্যে থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তিনজন শিশুও উদ্ধারের তালিকায় রয়েছে। তবে যে ২৭ জনকে বিমান দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সকলের অবস্থাই ‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক’।