আসাদের পতনে সিরিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটির কি হবে এখন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ এএম

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের নাটকীয় পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব হুমকির মুখে। এখন দামেস্কের নতুন বিদ্রোহী নেতৃত্বের সাথে মস্কো সিরিয়ায় তার মূল সামরিক ঘাঁটির ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে চাইছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ।
রাশিয়া উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি বিশাল বিমানঘাঁটি এবং ভূমধ্যসাগরীয় বন্দরে একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হওয়া দেশব্যাপী বিক্ষোভে মস্কোর সামরিক হস্তক্ষেপ প্রসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে দেশের বেশিরভাগ অংশ পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছিল।
আসাদের পতনের পর, সিরিয়ায় ক্রেমলিনের কট্টর মিত্রদের সবাই মস্কোতে পালিয়ে গেছে। এখন রাশিয়া সিরিয়ায় তার প্রভাব রক্ষার জন্য কূটনীতির দিকে ঝুঁকছে বলে মনে হচ্ছে।
মাত্র কয়েকদিন আগে হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করেছিল রাশিয়া, এখন তাদের কাছে কূটনৈতিক বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে মস্কো।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন। এইচটিএসের সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ ‘গঠনমূলকভাবে এগোচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিখাইল বোগদানভ বলেছেন, রাশিয়া আশা করে, এইচটিএস ‘সব ধরনের বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে এবং কূটনীতিক ও অন্যান্য বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া আশা করে, তারা সিরিয়ায় থাকা নিজেদের সামরিক ঘাঁটি দুটি রক্ষা করতে পারবে। দুটি ঘাঁটির একটি নৌঘাঁটি। এটি সিরিয়ার তারতস শহরে অবস্থিত। আর বিমানঘাঁটিটি দেশটির বন্দরনগরী লাতাকিয়ার অদূরে অবস্থিত। এটি খমেইমিম বিমানঘাঁটি নামে পরিচিত।
মিখাইল বোগদানভকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঘাঁটিগুলো সিরিয়ার যে ভূখণ্ডে ছিল, এখনো সেখানেই আছে। এ মুহূর্তে আর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
মিখাইল বোগদানভ বলেন, ‘ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করতেই সিরিয়ার অনুরোধে এসব ঘাঁটি করা হয়েছিল। সবাই মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এমন মনোভাবের ভিত্তিতেই আমি (সিরিয়ার বিষয়ে) এগোচ্ছি। আইএসের কিছু অংশও এখনো রয়ে গেছে।’
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চালিয়ে যেতে ‘সামষ্টিক প্রচেষ্টা দরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে (সিরিয়ায়) আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সার্বিক লড়াই চালিয়ে যেতে (সেখানে) আমাদের উপস্থিতি ও খমেইমিম ঘাঁটিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’