ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শি কে আমন্ত্রণ, ‘বাদ’ পুতিন!
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
৬০তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ২৭০ অবলীলায় অতিক্রম করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তার শপথ গ্রহণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের কোনো কোনো নেতারা আমন্ত্রণ পাবেন।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই গ্রহণ করবেন। রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
শপথে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং অন্যান্য বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তাদের মধ্যে কেউ ইউএস ক্যাপিটলের পাদদেশে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন মুখপাত্র মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের আমন্ত্রণে শি জিনপিং সাড়া দিয়েছেন কি না? জবাবে ক্যারোলিন বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো বিষয়টি নির্ধারণ করেনি।
চীনা প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অন্যান্য বিশ্বনেতাকে ট্রাম্প তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের কারও নাম নির্দিষ্ট করে বলেননি ক্যারোলিন।
সিবিএস নিউজের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে নির্বাচনের পরপরই আমন্ত্রণ পাঠানো হলেও এখনো নিশ্চিত নয়, শি জিন পিং এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন কি না।
এদিকে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এখনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন। এর কারণও স্পষ্ট নয়।
শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে ক্যারোলিন বলেন, এটা একটা উদাহরণ। ট্রাম্প এমন দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি খোলামেলা আলোচনার পথ তৈরি করছেন, যেগুলো শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র নয়, প্রতিপক্ষ-প্রতিযোগীও। ট্রাম্প যে কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক। তবে তিনি সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে রাখবেন।
শি যদি ওয়াশিংটন সফর করেন তাহলে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির নেতাদের বিতর্কিত বাণিজ্য ও সামরিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রথম সুযোগ তৈরি হতে পারে।