আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারে আঙ্কারা
বিরোধ অবসানে সোমালিয়া-ইথিওপিয়ার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করলেন এরদোগান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার সরকারপ্রধানদের সাথে পৃথক বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
এক্সের দুটি পোস্টে, তুর্কি প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এরদোগান আঙ্কারায় সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অন্য কোন বিবরণ ছিল না।
শান্তি আলোচনা শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান জানান, উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শান্তি এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি নতুন সূচনার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।
তুরস্কের লক্ষ্য হলো আফ্রিকার এই অঞ্চলটিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। এরদোগান আরও বলেন, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার যৌথ বিবৃতি পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করবে।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ তুরস্কের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশ সবসময় ইথিওপিয়ার ‘সত্যিকারের বন্ধু’ ছিল এবং থাকবে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনাকে ‘পারিবারিক সংলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর ফলে উভয় দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
এই সমঝোতা ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার মধ্যে নতুন সহযোগিতার পথ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত দুই দশকে আফ্রিকার দেশগুলোতে তুরস্কের দূতাবাসের সংখ্যা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। ২০০২ সালে আফ্রিকায় তুরস্কের দূতাবাস ছিল ১২টি, যা দুই দশক পর ২০২২ সালে এসে ৪৪-এ উন্নীত হয়েছে। তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধির আরেকটি প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণেও।
আফ্রিকায় তরুণ প্রজন্ম, সেখানকার বাজারে পণ্যের চাহিদা ও ব্যবসায়িক লাভের কারণে আফ্রিকা মহাদেশ তুরস্কের ব্যবসায়ীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। তবে মহাদেশটির বাজারে তুরস্ককে লড়াই করতে হচ্ছে রাশিয়া, চীন ও উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোর সঙ্গে।
তুরস্কের বাইরে তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে কয়েকটি চুক্তির পর মোগাদিসু তুরস্কের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।