ইয়েস ম্যাডাম হলো ভারতের সর্বোচ্চ রেটেড বিউটি অ্যাপ। এ সংস্থার ১০০ জন কর্মচারীকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়েছে।

সংস্থাটি কর্মীদের ওপর একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১০০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা প্রত্যেকেই মানসিক চাপে ছিলেন।

চাকরিচ্যুত হওয়া এক কর্মচারী হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ইয়েস ম্যাডামে কী হচ্ছে? প্রথমে আপনি একটি এলোমেলো সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন, তারপর আমাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করলেন। চাকরি হারিয়ে আমরা মানসিক চাপ অনুভব করছি? শুধু আমিই নয়, আরও ১০০ জনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

ইয়েস ম্যাডামের এইচআর ম্যানেজারের ই-মেইলের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ই-মেইল বার্তাং সংস্থাটি জানায়, আমরা কর্মক্ষেত্রে চাপ সম্পর্কে আপনার অনুভূতি বোঝার জন্য একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছি। আপনারা অনেকেই আপনাদের উদ্বেগ শেয়ার করেছেন। একটি স্বাস্থ্যকর এবং সহায়ক কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি সংস্থা হিসেবে, আমরা প্রতিক্রিয়াটি যত্নসহকারে বিবেচনা করেছি। কর্মক্ষেত্রে কেউ যাতে চাপে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য, আমরা এমন কর্মচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা উল্লেখযোগ্য কর্মক্ষেত্রে চাপের কথা জানিয়েছে।

এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। আপনার অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা, এইচআর ম্যানেজার, ইয়েস ম্যাডাম।

ইয়েস ম্যাডামের সাবেক কপিরাইটার আনুশকা দত্ত কোম্পানির এইচআর ম্যানেজার থেকে প্রাপ্ত ই-মেইল কর্মীদের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। ই-মেইলে সংস্থার দ্বারা পরিচালিত একটি স্ট্রেস সার্ভের ফলাফলের বিশদ বিবরণ দেওয়া রয়েছে।

ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, অনলাইন সমীক্ষার আজগুবি সমীক্ষার কথা বলে কর্মীদের ছাঁটাই করা অদ্ভূত ব্যাপার।

অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, সম্প্রতি ইয়েস ম্যাডাম নামের একটি অ্যাপ তাদের কর্মীদের কাছে একটি সমীক্ষা পাঠিয়েছে যে, তারা কতটা চাপে রয়েছে? যারা ভোট দিয়েছেন তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, চাকরি হারিয়ে তারা এখন কঠি চাপের মধ্যে।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সহযোগী পরিচালক শিতিজ ডোগরাও লিখেছেন- একটি সংস্থা কি আপনাকে চাপের জন্য ছাঁটাই করতে পারে?