পাকিস্তানে খারিজিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ সেনাসহ নিহত ২৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ জন খারিজি সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ৬ জন সদস্যও নিহত হয়েছেন।
শনিবার দেশটির সামরিক গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর কেপি প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পরিচালিত পৃথক তিনটি অভিযানে ৬ জন সেনা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন।
এর মধ্যে প্রথম অভিযানটি ট্যাংক জেলার গুল ইমাম এলাকায় পরিচালিত হয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে সেখানে খারিজিদের উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই অভিযানে ৯ জন খারিজি সদস্য নিহত এবং ৬ জন আহত হয়। আহতদের পরবর্তীতে আটক করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় উত্তর ওয়াজিরিস্তানে। সেখানে ১০ জন খারিজি সদস্য নিহত হয়।
এছাড়া তৃতীয় সংঘর্ষটি ঘটে থাল জেলায়। খারিজি সদস্যরা তখন একটি নিরাপত্তা চৌকিতে আক্রমণের চেষ্টা করে। এই সংঘর্ষে ৩ জন খারিজি সদস্য নিহত হয়। বিপরীতে ৬ জন সেনা সদস্য প্রাণ হারান।
পাকিস্তান আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কেপি এলাকায় খারিজি সদস্যদের নির্মূল করতে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চলছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের সাহসী সেনাদের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
এই অভিযানের লক্ষ্য অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খারিজি সদস্যদের বিরুদ্ধে সামরিক কার্যক্রম আরও বাড়ানো হয়েছে বলেও জানায় আইএসপিআর।
সম্প্রতি পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং নিরাপত্তা চৌকিগুলোর ওপর সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষত বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে।
২০২২ সালে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি ভেঙে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালানোর অঙ্গীকার করার পর তাদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সরকার জুলাই মাসে নিষিদ্ধ TTP-কে ‘ফিতনা আল খারিজি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং সব প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসী হামলার অপরাধের জন্য ‘খারিজি’ বলে উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখোয়ায় গোয়েন্দাভিত্তিক দুটি অভিযানে (IBO) একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ ৮ জন খারিজি সদস্য নিহত হয়।
তবে বর্তমানে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেপির বন্নুতে গত ২০ নভেম্বর সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ এক হামলার ঘটনা ঘটে। এই আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারান। ওই অভিযানে ৬ জন খারিজি সদস্যও নিহত হয়। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন