৯ মে হামলা, ইমরানসহ শতাধিক পিটিআই নেতা দোষী সাব্যস্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
২০২৩ সালের ৯ মে জেনারেল হেডকোয়ার্টারসে (জিএইচকিউ) হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানসহ তার দলের শতাধিক নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) এ রায় দেন।
এদিন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এটিসি বিচারক আমজাদ আলী শাহ মামলার শুনানি পরিচালনা করে ওই রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানের গ্রেফতারের পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংস প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ৯ মে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলায় শেখ রশিদ, ওমর আয়ুব, শেখ রশিদ শফিক, রাজা বশারত, জারতাজ গুলসহ ১০০-এর বেশি পিটিআই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
আদালতের এই রায়ের পর জাতীয় পরিষদের বিরোধী নেতা ওমর আয়ুবকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পাঞ্জাবের সাবেক আইনমন্ত্রী রাজা বশারতকে জেল থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয়েছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
এর আগে ওমর আয়ুব, জারতাজ গুল, রশিদ শফিক, সাদাকাত আব্বাসি, ওয়াসিম কাইয়ুম আব্বাসি, জাভেদ কাউসার, সাজিদ কুরেশি, মুসাররাত জামশেদ চিমা, মোহাম্মদ আহমেদ ছাঠা এবং উসমান দারসহ বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতা আদিয়ালা জেলে শুনানির জন্য উপস্থিত হন।
আদালত মে ৯ হামলা মামলায় অভিযুক্তদের তলব করেছিল। যেখানে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানসহ মোট ১২০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া লাহোর জেল থেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর, শিবলি ফারাজ, শিরিন মাজারি, জারতাজ গুল, জায়ন কুরেশি এবং তাইবা রাজার মতো পিটিআই নেতাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে ৪৫ জন পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং আদালত সতর্ক করেছে যে, তারা হাজির না হলে তাদের ‘পলাতক’ ঘোষণা করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এর আগে, ইমরান খান সাইফার মামলায় জামিন পাওয়ার পর জিএইচকিউ হামলা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।
জিএইচকিউ হামলা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ২৭টি গুরুতর অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সাবেক প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী রাজা বশারতের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা জিএইচকিউ গেট আক্রমণ করে এবং সামরিক বাহিনীর সতর্কতার পরেও উল্লেখযোগ্য সম্পত্তি ক্ষতি করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা জিএইচকিউ-এর সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ এবং স্থাপনার ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
তদন্ত অনুযায়ী ঘটনাস্থলে ‘ইমরান খান ছাড়া পাকিস্তান নয়’ এবং ‘এই সন্ত্রাসের পেছনে ইউনিফর্ম’ ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়, যা সামরিক বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ, এই হামলাগুলো সংবেদনশীল আইএসআই এবং জিএইচকিউ অফিসে পরিচালিত হয় এবং পিটিআই নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদকে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন