যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরাইলি বিমান হামলায় লেবাননে নিহত ১১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ এএম
গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর, লেবাননজুড়ে বৃহত্তম বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সোমবার এ হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় হারিস গ্রামে ইসরাইলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে এবং তাল্লোসা গ্রামে আরেকটি বিমান হামলায় চারজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
এতে বলা হয়েছে, গত বুধবার ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরাইলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে। এর জেরে বিমান হামলার জবাব দিল ইসরাইল।
হিজবুল্লাহ লেবাননের শেবা ফার্মস নামে পরিচিত একটি বিতর্কিত ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল মাউন্ট ডোভের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়, ইসরাইলের সেনাবাহিনী লেবাননের জুড়ে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, অবকাঠামো এবং রকেট লঞ্চারগুলোর বিরুদ্ধে সোমবার গভীর রাতে একের পর এক বিমান হামলা চালায়।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি ইসরাইলের বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পরে প্রতিরক্ষামূলক এবং সতর্কতামূলক প্রতিক্রিয়া হিসাবে গুলি চালিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মধ্যস্থতাকারীরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ব্যর্থ হয়েছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের আগে, ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে কমপক্ষে চারটি বিমান হামলা এবং একটি আর্টিলারি ব্যারেজ হামলা করে, যার মধ্যে একটি ড্রোন হামলা ছিল যা একটি মোটরসাইকেলে একজন ব্যক্তিকে হত্যা করে।এছাড়া আরেকটি হামলায় লেবাননের নিরাপত্তা সেবার একজন কর্পোরাল নিহত হয়।
ইসরাইল বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ৫০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছেন।
গাজায় বিধ্বংসী ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত। প্রায় ১৪ মাস পর দুইপক্ষ যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়। কিন্তু নতুন করে ইসরাইলে হামলায় এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য যা বড় হুমকি।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে যদি তাদের মুক্তি না দেওয়া হয় তবে নরকের পরিণতি ভোগ করতে বে।
ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সরাসরি জড়িত করার হুমকি দিচ্ছেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করেননি। তবে প্রায় ১৫ মাসের সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছে।