তাইওয়ানকে ফের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যে সতর্কবার্তা দিল চীন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
তাইওয়ানের কাছে নতুন করে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নতুন অস্ত্র বিক্রিতে সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক গভীর করার সর্বশেষ লক্ষণ। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। বিষয়টি চীনকে ক্রমাগত অস্থির করে তুলছে। এ বিষয়ে এবার সতর্কবার্তা দিল দেশটি।
শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা লাইয়ের লাল গালিচার শুভেচ্ছার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিন্দা এবং গুরুতর প্রতিবাদ জানায়।
এত আরও বলা হয়েছে, চীন ঘনিষ্ঠভাবে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে চীন।
এর আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানের খুচরা যন্ত্রাংশসহ এসব সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হবে।
ডিএসসিএ বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদিত এই নতুন প্যাকেজ নিশ্চিত করবে যে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবেলা করতে তাইওয়ান তার এফ-১৬ অপারেশনাল প্রস্তুতি বজায় রাখবে।
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজের বলে দাবি করে চীন। অঞ্চলটিকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীকরণের লক্ষ্য অর্জনে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি। দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে আসছে।
এদিকে উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার (৩০ নভেম্বর) তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। সেখানে তাকে লাল গালিচার শুভেচ্ছা জানান হয়েছে।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে এক ভাষণে লাই বলেন, এই সফর মূল্যবোধভিত্তিক গণতন্ত্রের নতুন যুগের সূচনা করেছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। অপরদিকে স্বাধীনতার জন্য যে কোনো প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী ও পৃষ্ঠপোষক।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ান ইস্যুটি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা, দ্ব্যর্থহীনভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণকে সমর্থন করা।