আলেপ্পো-ইদলিবে ৪০০ আল-নুসরা বিদ্রোহী নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
সিরিয়ার আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনী এবং রাশিয়ার বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযানে ৪ শতাধিক জাবহাত আল-নুসরা বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ পুনর্মিলন কেন্দ্রের উপপ্রধান ক্যাপ্টেন ওলেগ ইগ্নাসিউক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ক্যাপ্টেন ইগ্নাসিউক জানান, গত ২৭ নভেম্বর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে জাবহাত আল-নুসরা বিদ্রোহীদের আক্রমণ শুরু হয়। এ সময় রুশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় সিরিয়ান সেনাবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যাপক সংঘর্ষে বিদ্রোহীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কমপক্ষে ৪০০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
রুশ সামরিক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রোহী সংগঠনটি ইদলিবের ডি-এস্কেলেশন জোনে সিরিয়ান সেনাবাহিনীর অবস্থানগুলোতে ১৩টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১২টি হামলা ইদলিব প্রদেশে এবং একটি আলেপ্পো প্রদেশে করা হয়েছে।
মানবিক সহায়তা কার্যক্রম
রুশ পুনর্মিলন কেন্দ্র আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে সংঘর্ষের পাশাপাশি মানবিক সহায়তাও দিয়েছে। এছাড়াও তারা দারা প্রদেশে দুটি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সেখানে তারা ৯০০টি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে, যার সর্বমোট ওজন ছিল ৯ মেট্রিক টনেরও বেশি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবানন থেকে ৩,৮১৯ জন শরণার্থী সিরিয়ায় ঢুকেছে বলেও জানিয়েছে রুশ পুনর্মিলন কেন্দ্র।
পরিস্থিতির মূল্যায়ন
জাবহাত আল-নুসরা বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি মূলত আল-কায়েদার একটি শাখা। যারা সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের অন্যতম প্রধান অংশীদার। তাদের সাম্প্রতিক আক্রমণ ইদলিব ডি-এস্কেলেশন চুক্তির লঙ্ঘন এবং এই গোষ্ঠী প্রদেশটির শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।
সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক অভিযানের ফলে বিদ্রোহী সংগঠনটির বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলেও, সংঘাত সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি