প্রেসিডেন্ট এরদোগান
গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করা এবং একটি স্থায়ী অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক সবধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
বুধবার তুরস্কের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একেপি) পার্টির সংসদীয় গ্রুপ বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইলের হামলায় ৪৪,২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০৪,৭৪৬ জনের বেশি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
একেপি পার্টির সংসদীয় গ্রুপ বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘ফিলিস্তিনসহ এ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে, বিশেষ করে ইসরাইলের প্রতি আমরা প্রত্যাশা করছি যে, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে পালন করবে’।
তুরস্ক বারবার গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধ এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক এই সংকট সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক।
এই পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরদারি এবং কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।
এদিকে এরদোগান ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে বুধবার সকালে কার্যকর হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তিকেও স্বাগত জানান। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এই অস্ত্রবিরতি বাস্তবায়িত হয়েছে। যা স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হিজবুল্লাহ গাজাবাসীদের প্রতি সংহতি জানাতে এবং গাজায় অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে ইসরাইলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং ড্রোন দিয়ে অব্যাহতভাবে হামলা চালায়।
এরপর ইসরাইল লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো শুরু করে এবং গত ১ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে।
লেবাননে চালানো এসব অভিযানে ৩,৮২৩ জনেরও বেশি লেবানিজ নিহত এবং ১৫,৮৫৯ জনেরও বেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসররাইলি বাহিনীর প্রায় ৯০০ সেনা নিহত হন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি