উত্তাল পাকিস্তান, শান্ত থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
পাকিস্তানে পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান সরকারের প্রতি মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি সংবিধান মেনে চলারও তাগিদ দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ
মিলার বলেন, আমরা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল
থাকার আহ্বান জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের
পরামর্শ দেই।
একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের দাবি জানাতে এবং সহিংসতা
পরিহারের আহ্বান জানান এ মার্কিন কর্মকর্তা।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের
মুক্তির দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকরা। সোমবার রাতে পিটিআই
এর বিক্ষোভ মিছিল ইসলামাবাদে প্রবেশ করলে শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি গাড়ির আঘাতে চার
রেঞ্জার্স ও দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন।
ওই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
আলী আমিন গান্দাপুর। তার নেতৃত্বে খাইবার পাখতুনখোয়া, হাজারা, ডিআই খান এবং বেলুচিস্তান
থেকে আসা মিছিল একত্রিত হয়ে ইসলামাবাদের হাকলা ইন্টারচেঞ্জে প্রবেশ করে। বিক্ষোভে
যোগ দেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং দলের শীর্ষ নেতারাও।
তবে বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানি
রাজধানীতে প্রবেশের পথে একাধিক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে
বিক্ষোভকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করে।
তবে গাড়ির ধাক্কায় একাধিক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পরপরই ইসলামাবাদে
সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে ‘শুট-অ্যাট-সাইট’
(দেখামাত্র গুলি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় পিটিআই’কে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি। তবে ইসলামাবাদে সমাবেশের বিষয়ে এখনো অনড় ইমরান সমর্থকরা।
বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডি-চক পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বুশরা বিবি।
এর আগে এক দফা আলোচনায় বসেছিলেন সরকার ও পিটিআই প্রতিনিধিরা। এতে সরকারের
প্রতিনিধিত্ব করেন আমির মুকাম, আয়াজ সাদিক ও মোহসিন নকভি। পিটিআইর পক্ষে ছিলেন আসাদ
কায়সার, শিবলী ফারাজ ও ব্যারিস্টার গওহর। তবে আলোচনা থেকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো
সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে।