আইএইএ’র নজরদারি উপেক্ষা করে ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়াচ্ছে ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
সংগৃহীত
গাজা ইস্যুতে ইসরাইলের সঙ্গে একরকম যেচে এসে যুদ্ধে জড়িয়েছে ইরান। দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। যা জানান দিচ্ছে দেশটির পরমাণু সক্ষমতার কথা। এই অবস্থায় পশ্চিমাদের আশঙ্কা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই পরমাণু কার্যকর অব্যাহত রেখেছে ইরান।
এমনিতেই পরমাণু শক্তিধর ইরান। তবে সম্প্রতি ইরান তাদের সেই সক্ষমতা আরও বাড়িয়ে বলে ধারণা পশ্চিমাদের। যে কারণে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অধিবেশনে আইএইএ-এর ৩৫টি দেশের গভর্নর বোর্ড ইরানের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যে জন্য নিন্দা প্রস্তাবে নেতৃত্ব দেওয়া ইউরোপের তিন দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে চাচ্ছে ইরান।
তবে ইরানকে নিয়ে এই ‘সন্দেহ ও অস্পষ্টতা’ দূর করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এ বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী তিনি। পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে পশ্চিমাদের সকল সন্দেহ ও অস্পষ্টতা দূর করতে চান তিনি। তবে তিনি চাইলেও দেশটিকে নিয়ে পশ্চিমাদের সন্দেহ আছেই।
কেননা, ইরান এবং বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো ২০১৫ সালে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। যাতে তেহরানের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে নিজেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করে। যে কারণে ইরানও তাদের অঙ্গীকার থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করে।
পরবর্তীতে ২০২১ সাল থেকে পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নজরদারি করার ডিভাইসগুলি নিষ্ক্রিয় করে ইরান। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের পরিদর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে আইএইএ-র সাথে তার সহযোগিতা কমিয়ে দেয় তেহরান। যে কারণেই ইরানকে এই সন্দেহ পশ্চিমাদের।
ইরানকে নিয়ে পশ্চিমাদের দাবি, দেশটি তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ এবং সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৬০ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে আইএইএ-এর মতে, এই স্তরটি পারমাণবিক বোমার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ৯০ শতাংশেরও বেশি মাত্রার কাছে এবং ২০১৫ সালে সম্মত হওয়া ৩.৬৭ শতাংশ সীমার থেকে অনেক বেশি।