সংযুক্ত আরব-আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে জভি কোহান নামের নিখোঁজ ইহুদি রাব্বির (যাজক) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইহুদি ধর্ম বিশেষজ্ঞ এই রাব্বিকে হত্যার ঘটনাকে ইহুদি-বিরোধী ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল। 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইসরাইল এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ হওয়া ইসরাইলি-মলদোভান জভি কোহানের মরদেহ আমিরাতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো উদ্ধার করেছে।

রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঘটেছে। একজন ইসরাইলি নাগরিক ও চাবাদ প্রতিনিধিকে হত্যার এই ঘটনা ঘৃণ্য ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী হামলা।ইসরাইল তার ক্ষমতার সব উপায় ব্যবহার করে ঘাতকদের এবং যারা তাদের পাঠিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউই রেহাই পাবে না।

তবে বিবৃতিতে কীভাবে কোগানের খুনীদের বিচারের আওতায় আনা হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি।

কোগান কী ধরনের পরিস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তারাও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। বাহরাইন এবং মরক্কোর পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতও ২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। তবে দেশটির পক্ষ থেকে কোগানের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে আমিরাতের দুবাইয়ে নিখোঁজ হন কোগান। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘটনায় তদন্ত করছে। কোগানের নিখোঁজ হওয়াকে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ হিসেবে বিবেচনা করে তারা তদন্ত শুরু করে।

ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইসরাইল এবং আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।