আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের কোনো গুরুত্ব নেই: নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, এ রায়ের কোনো গুরুত্ব নেই। তিনি একে ইহুদিবিদ্বেষী রায় বলে দাবি করেছেন।
এদিন ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালেন্টের বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। হামাসের সেনাপ্রধান হোমাম্মেদ ডেইফ-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ব্যক্তিদের যে কোনো দেশ গ্রেফতার করতে পারে।
গাজায় যেভাবে ‘হত্যালীলা’ চালানো হয়েছে, তা নিয়ে রায় দিতে গিয়েই বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালেন্ট বলেছেন, হেগের আদালতের এই বিচার স্মৃতিতে থেকে যাবে। ইসরাইল রাষ্ট্র এবং হত্যাকারী হামাস নেতাদের এই রায় একই আসনে বসিয়েছে। এই রায় হামাসের সহিংসতাকে সমর্থন করেছে। তারা যেভাবে শিশুদের হত্যা করেছে, নারীদের নির্যাতন করেছে, বৃদ্ধদের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গেছে, তা সমর্থন পেল এই রায়ে।
গ্যালেন্টের বক্তব্য, এই রায় আত্মরক্ষার অধিকারকে মর্যাদা দেয়নি।
রায়ের পক্ষে কানাডা
কানাডা আন্তর্জাতিক আইন মানতে দায়বদ্ধ, এ রায়কে সম্মান জানাবেন- বলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। টেলিভিশনের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে তিনি সম্মান জানাবেন।
যুক্তরাজ্যের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারাও আন্তর্জাতিক আইন এবং আদালতকে সম্মান করেন। তবে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানা যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে কিনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
দায়বদ্ধতা জানাল ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বরেল ইইউ-র ২৭টি দেশের প্রধানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তারা আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে দায়বদ্ধ। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণার পরেই এ মন্তব্য করেছেন বরেল।
এদিকে এ পরিস্থিতির মধ্যেই হিজবুল্লার সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইসরাইলে পৌঁছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে এর আগেও আলোচনা হয়েছে; কিন্তু বারবার তা ভেস্তে গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায় নিয়ে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত তাদের স্পষ্ট মতামত জানায়নি।
সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি