নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা বলল তুরস্ক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার নোমান কুর্তুলমুশ এবং আইনমন্ত্রী ইলমাজ তুঞ্চ স্বাগত জানান।
একটি বিবৃতিতে কুরতুলমুশ একে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত মানবতার পক্ষে, যারা ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নির্যাতনের বিরোধিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচার এবং মনুষ্যত্ব একদিন ইসরাইলের নিপীড়ন ও বর্বরতার বিরুদ্ধে বিজয়ী হবে।
কুরতুলমুশ আরও জানান, ইসরাইলের জাতিসংঘ সদস্যপদ স্থগিত করার প্রয়োজন। যতক্ষণ না এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে।
এদিকে, আইনমন্ত্রী তুঞ্চ বলেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ যারা নির্দয়ভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তাদের যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শিগগিরই বিচার হওয়া উচিত।
তুঞ্চ আরও বলেন, আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা হলো ফিলিস্তিনে রক্তপাত বন্ধের দিকে এক দীর্ঘকালীন ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি বিশ্বাসী দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনই সক্রিয় হয়ে ওঠা উচিত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে এসব শিশু হত্যাকারী তাদের প্রাপ্য শাস্তি পায়।
তিনি বলেন, তুরস্ক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে এবং তাদের স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক রায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং হামাস কর্মকর্তাদেরকে ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং ফ্রান্স সবাই বলেছে যে তারাও আইসিসিকে সমর্থন করে, কিন্তু উল্লেখ করেছে যে তারা অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে কী করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করবে।
এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে— ইসরাইল আইসিসির সদস্য নয়। নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের তাই নিজদেশে গ্রেফতার হওয়ার কোনো ভয় নেই, তবে এই পরোয়ান গাজা এবং লেবাননের যুদ্ধের কারণে ইসরাইলকে আরও বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকি রয়েছে।