নেতানিয়াহুের বিরুদ্ধে আইসিসির রায়কে স্বাগত জানাল হামাস ও ফাতাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ এএম
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এবং প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস উভয়ই গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মূলত প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ শাসন করে। আর গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাস।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সরকারী বার্তা সংস্থা ওয়াফার এক প্রতিবেদনে বলেছে, নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বলেছে, নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছে।
ফিলিস্তিনি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইসিসির সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক আইন এবং এর প্রতিষ্ঠানের প্রতি আশা ও আস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। একইসঙ্গে আইসিসি সদস্য দেশগুলোকে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের সাথে যোগাযোগ ও বৈঠক বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে আইসিসির রায়ে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে নিয়ে কোনো বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের পরোয়ানা সম্পর্কে এএফপি জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তা বলেন, ‘দখলদার অপরাধী এবং ভুক্তভোগী শিকারের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না’।
এদিকে গাজায় বাড়িঘর থেকে বাস্তচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরা বলছে, আইসিসির পরোয়ানা তাদের কষ্টে কোনো পার্থক্য তৈরি করবে না।
মধ্য গাজার এক শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া ইউসেফ আবু হুওয়াইশেল বলেছেন, ‘এই গণহত্যা এবং নিপীড়িত জনগণের বিষয়ে কেউ কথা বলছে তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে যারা ইসরাইলকে সমর্থন করে’।
আল-জাওয়াইদাতে একই ক্যাম্পে অবস্থান করা হাসান হাসান বলেছেন, তিনি নিশ্চিত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে না। ‘কারণ ফিলিস্তিনি কারণের পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি’।
গত জুলাইয়ে খান ইউনিসে এক বিমান হামলায় হামাস নেতা দেইফকে হত্যার দাবি করে ইসরাইল। যদিও ওই সময় হামাস তা অস্বীকার করে। পরে নভেম্বর হামাস গোপনে স্বীকার করে যে, দেইফ নিহত হয়েছেন। তবে দেইফের মৃত্যু নিয়ে নির্ভুল কোনো তথ্য নেই আইসিসির কাছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার জন্য দেইফকে অন্যতম কুশীলব মনে করে ইসরাইল।