নেতানিয়াহুর বাসভবনে বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন আটক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনে বোমার নিক্ষেপে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এই হামলায় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি লেবাননের সশস্ত্র আন্দোলন হিজবুল্লাহ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন তিনজনকে গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত এবং লাহাভ ইউনিট ৪৩৩ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।
আটক তিন নাগরিকের ব্যাপারে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি ইসরাইল। তারা কীভাবে এই ঘটনায় জড়িত হন, এই হামলার পেছনে তাদের কোনো গোষ্ঠী নিয়োগ করেছিল কি না, সেটাও এখনো প্রকাশ করেনি দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে জিউস প্রেসের প্রতিবেদনে, এই তিনজনকে বিশৃঙ্খলাকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর বাসভবনের আশপাশে কোনো বিক্ষোভ থেকে আক্রমণ হয়নি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনাে কর্মসূচিও ছিল না। সম্প্রতি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জিম্মি মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলতে থাকায় তাকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে ইসরাইলি পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সিজারিয়া এলাকায় নেতানিয়াহুর বাসভভনের আঙিনায় হালকা মাত্রা বােমা নিক্ষেপে আগুন জ্বলে উঠে , এতে কোন ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নেতানিয়াহু এবং তার পরিবার তখন বাড়িতে ছিলেন না।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর এই বাসভবনে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। ওই সময় পরিচালিত হামলার পূর্ণাঙ্গ ও একক দায় ঘোষণা করেছিল হিজবুল্লাহ।
এরপর হিজবুল্লাহ প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম ভাষণে নেতানিয়াহুকে হত্যার হুমকি দেন শেখ নাঈম কাসেম। তিনি দাবি করেন, হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে নিজের জীবননাশের আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু।
নাঈম কাসেম তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমরা নেতানিয়াহুর ঘরে একটি ড্রোন পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। নেতানিয়াহু এবার বেঁচে গেছেন, কিন্তু সম্ভবত তার সময় এখনও আসেনি।’
‘সম্ভবত একজন ইসরাইলি তাকে হত্যা করবে, সম্ভবত তার বক্তৃতার সময়।’
‘আমাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ নিশ্চিত করেছে যে নেতানিয়াহু খুবই ভীতসন্ত্রস্ত, কারণ আমরা তাকে লক্ষ্যবস্তু করেছি’।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট ও ড্রােন হামলা বৃদ্ধি করেছে হিজবুল্লাহ। বলা যায়, উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায় গড়ে একাধিকবার এমন হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠী। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বৈরুতসহ লেবানন সীমান্তে সাড়াশি অভিযান পরিচালনার পরও তেল আবিবের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না।