ইরানি রাষ্ট্রদূত-ইলন মাস্কের বৈঠক ‘ইতিবাচক’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
তেহরান ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি ও মাস্কের এ বৈঠক ছিল ‘ইতিবাচক’।
বৃহস্পতিবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টায় ইলন মাস্ক গত সোমবার একটি গোপন স্থানে আমির সাঈদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দল বা জাতিসংঘে ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেনি। আর ইরানের মিশন জানায়, এ নিয়ে তাদের বলার কিছু নেই।
ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মাস্কের বৈঠকের এ খবর যে আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা হলো- তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতায় জোর দিচ্ছেন ট্রাম্প। দেশটির ব্যাপারে আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি পালটে ফেলেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
অথচ ইরানের বিষয়ে আক্রমণাত্মক মার্কিন নীতিকেই পছন্দ করেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের একাংশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইল।
বৈঠকে তেহরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ইরানের রাষ্ট্রদূত। ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্লেষকের মতে, বৈঠকের খবর নিশ্চিত হলে তা ট্রাম্প প্রশাসনে টেসলা ও স্পেসেক্সের মালিক ইলন মাস্কের অসাধারণ প্রভাব থাকার বিষয়টিও ফুটিয়ে তুলবে। নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের উপস্থিত থাকার বিষয় লক্ষ করা গেছে। এখন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তাকে ফোনালাপেও অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলে ওই চুক্তি সই হয়েছিল।
চুক্তি থেকে নিজ দেশকে বের করে আনা ছাড়াও ট্রাম্প ইরানকে ‘সর্বোচ্চ চাপে’ রাখার নীতি অনুসরণ করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল, ইরানের কাছ থেকে অন্য দেশগুলো যাতে তেল না কেনে, সে বিষয়ে চাপ তৈরির বিষয়টিও।
তবে সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ট্রাম্প নিজেকে একজন বড় মাপের মধ্যস্থতাকারী ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে খোলামনের অধিকারী হিসেবে তুলে ধরেছেন।
যদিও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ্য।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত থাকার মধ্যেই নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইরানের মাটিতে হামলার নির্দেশ দেন।
এদিকে মুসলিম রাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বৃহস্পতিবার তেহরানে সফররত জাতিসংঘ পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানকে বলেছেন, ইরান তার ‘শান্তিপূর্ণ’ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সংশয়-সন্দেহ দূর করতে চায়।