গাজা-লেবাননে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া মুসলিমদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন ও লেবাননে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আরব মুসলিমরা।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন, মিশিগানের মুসলিম-অধ্যুষিত শহর ডিয়ারবর্নের সেই আরব আমেরিকানরা এ আহ্বান জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (MENA) আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক চিঠিতে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন জানায়। একই সঙ্গে জানায় যে, এবারের নির্বাচনে ডিয়ারবর্ন ট্রাম্পের সমর্থনে পুরোপুরি ‘লাল’ রঙে ছেয়ে গিয়েছিল। এই ‘লাল’ রঙ সাধারণত রিপাবলিকানদের জন্য ব্যবহৃত রঙ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে লেবানিজ আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে আপনার বিখ্যাত চিঠির প্রতিক্রিয়ায় এবং মার্কিন নির্বাচনের পর ইসরাইলি হামলার বৃদ্ধি হওয়ায়, আমরা আপনার প্রশাসন ও ট্রানজিশন টিমকে ফিলিস্তিন ও লেবাননে তাত্ক্ষণিক অস্ত্রবিরতির জন্য রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করতে অনুরোধ করছি’।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ট্রাম্প তার ‘পিস প্ল্যাকস’ স্বাক্ষরের সময় দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং এই আহ্বান সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি মেনা আমেরিকানদের মধ্যে বিশেষ করে যারা মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং জর্জিয়ায় আপনার বিশাল জয় নিশ্চিত করেছে, তাদের মূল্যবোধ ও উদ্বেগের সঙ্গে আপনার মূল্যবোধ ও উদ্বেগও মিলে গেছে। তাই এখন প্রতিশ্রুতি রক্ষার সময়’।
মিশিগানের ডিয়ারবর্ন মূলত আরব আমেরিকানদের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। সেখানে উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম মসজিদটি অবস্থিত।
প্রায় ২,৫০,০০০ মুসলিম ভোটারের শহর ডিয়ারবর্নে এবার ২০২০ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। সেই সময়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন মিশিগানে প্রায় ১,৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। যার ফলে তিনি তখনকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।
তবে এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি ডিয়ারবর্নের মুসলিমদের সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে গাজায় ইসরাইলের অপরাধমূলত কর্মকাণ্ডে বাইডেন প্রশাসন ও তার দলের সমর্থনের কারণেই এই পরিবর্তন ঘটে। এবার তারা ট্রাম্পকেই সমর্থন জানায় এবং তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি