নির্বাচনে হেরে কমলা এখন কোন পথে হাঁটবেন?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হোয়াইট হাউস ও সিনেটের উচ্চক্ষক দখলে নিয়েছেন ট্রাম্প। এখন নিন্মকক্ষেও জয়ের পথে রয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কোন পথে হাঁটবেন কমলা।
ট্রাম্পের কাছে হারায় আগামী ৭২ দিনের মধ্যে হোয়াইট হাউস ও সিনেট ছাড়তে হবে কমলাকে। এ অবস্থায় কমলার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কোন পথে যাচ্ছে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কমলার পরিকল্পনা ঠিক কি? তিনি কি আগামী ২০২৮ নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেবেন?
সেটি হলে এ ব্যাপারে কমলার জন্য ভালো উদাহরণ হতে পারেন জন কেরি। ২০০৪ সালে জর্জ বুশের কাছে হেরে গেলেও পরবর্তীতে রাজনীতিতে লেগে থাকার সুফল পেয়েছিলেন তিনি। বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন কেরি।
কমলা এই মুহূর্তে জন কেরির পথ অনুসরণ করতে পারেন। তবে, রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে ফিরে আসা এবং আবার গতি তৈরি করা মিস হ্যারিসের জন্য সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের ডেমোক্র্যাট দাতা মার্ক বুয়েল কমলাকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই বিধ্বস্ত।’
এদিকে রিচি গ্রিনবার্গ, সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত একজন রিপাবলিকান ভাষ্যকার বলেছেন, মিসেস হ্যারিস তহবিল সংগ্রহের সমর্থন সুরক্ষিত করতে আরও একবার লড়াই করতে পারেন।
এটি যদি নাও হয়। তবে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে ভূমিকা রাখতে পারেন হ্যারিস। পার্টির একজন মুখপাত্র হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। সেই সঙ্গে সংযোগ দক্ষতা। যা কাজে লাগাতে পারে তার দল।
বই লিখতে বা ফ্লিম বানাতে পারেন হ্যারিস
প্রাক্তন দু’জন ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী - হিলারি ক্লিনটন এবং আল গোর - প্রেসিডেন্ট পদে হেরে গিয়ে বই লেখা এবং অন্যান্য সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মিস হ্যারিসও এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়ার পর হিলারি ‘হোয়াট হ্যাপেনড’ শিরোনামে একটি বই লেখেন, গোর একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘অ্যান ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ’ তৈরি করেছিলেন।
রাজনীতি থেকে দূরে সময় উপভোগ করতে পারেন
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্ট অফিস ছাড়তে হবে হ্যারিসকে। তখন রাজনীতিতে তার আর ফেরার ইচ্ছে না থাকলে সময়টাকে উপভোগ করতে পারেন তিনি। ঘুরে বেড়াতে পারেন। অথবা, চাইলে মিসেস ক্লিনটনের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেন হ্যারিস। যিনি রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। বরং ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি বেশি মনোযোগী ছিলেন। তবে এসব সত্ত্বেও দলের সঙ্গে তার একটি ভাল সম্পর্ক বজায় ছিল।