হোটেলে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের সময় যুবকের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
হোটেল কক্ষে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করার সময় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। জানা গেছে, ওই কিশোরী যে কারখানায় কর্মরত, সেখানেই কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। পেশাগতভাবে ওই ব্যক্তি গুজরাটের হিরে কারখানার ম্যানেজার। ৪১ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মুম্বাইর একটি হোটেলে।
পুলিশ বলছে, ওই ম্যানেজার ওই কিশোরীর পরিবারকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য করতেন। ওই কিশোরীর বাবা অসুস্থ, ভাই বেকার। মা, বাবা, ভাইয়ের পরিবারকে সাহায্য করতেন ওই ম্যানেজার।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীকে ম্যানেজার ভয় দেখাতে থাকেন। তিনি বলেন, তার কথা না শুনলে বাড়িতে পাঠানো আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেবেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করে সেখানে নিয়ে আসে। মেয়েটির পরিবার তার সঙ্গে সুসম্পর্ক ভাগ করে নেয় কারণ সে প্রায়ই তার শয্যাশায়ী বাবাকে দেখতে তার বাড়িতে যেতেন। এমনকি তাদের আর্থিক সাহায্যও করেছেন। ওই ম্যানেজারকে খুবই বিশ্বাস করতেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। ফলে ম্যানেজারের সঙ্গে মেয়েকে বের হতে দিতেও ছাড়তেন তারা।
এদিকে গত ২৯ অক্টোবর ওই কিশোরীর বাড়িতে যান ম্যানেজার। তিনি তরুণীর পরিবারকে বলেন, তিনি বাড়ির সবার সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছেন, তাই ওই কিশোরীকেও নিয়ে যেতে চান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই তরুণীকে নিয়ে তিনি চলে যান।
এদিকে, হোটেলে ঢুকেই ওই ম্যানেজার জানান, এই কিশোরী তার মেয়ে। ১৪ বছরের ওই কিশোরীর ভুয় কার্ডও তিনি দেখান হোটেলে।
পুলিশ বলছে, আমরা জানতে পেরেছি ওই কিশোরীকে হোটেলের রুমে ঢুকিয়ে দিয়েই তার ওপর অত্যাচার শুরু করে দেন ম্যানেজার। অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে বারবার মানা করাতে থাকেন, তার পরিবারকে দেওয়া আর্থিক সাহায্য তিনি বন্ধ করে দেবেন, ঘটনা নিয়ে কারোর কাছে মুখ খুললে। এছাড়াও যে টাকা তিনি দিয়েছেন, সেই টাকা তিনি ফেরত নিয়ে নেবেন যদি কিশোরী তার কথা না শোনে, এমনই হুমকি দিতে থাকেন বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ বলছে, সেই দিন যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর ধর্ষণ করতে গিয়েই তিনি আচমকা লুটিয়ে পড়ে যান। পরে তাকে জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস