৩ দিনের রিমান্ডে ইমান মাজারি ও তার স্বামী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
সরকারি কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে পাকিস্তানের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ইমান মাজারি এবং তার স্বামী হাদি আলীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ আদেশ দেন।
ইসলামাবাদ পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের সফরের সময় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরির অভিযোগে তাদের গ্রেফতারর করা হয়েছে।
শুনানির সময় প্রসিকিউটর রাজা নাভিদ আদালতের কাছে আসামিদের ৩০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
ইমান ও হাদি আন্তর্জাতিক দলের নিরাপত্তাকে হুমকি দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালতে প্রসিকিউটর বলেন, এই দম্পতির সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হবে। এরপর আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে মাজারি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে আবপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এই দম্পতির বিরুদ্ধে ক্রিকেট দলের নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, পাকিস্তানে সফররত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের নিরাপত্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ নিয়ে মাজারি এবং একজন পুলিশ ওয়ার্ডেনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় এক সপ্তাহ পরে গ্রেফতার করা হয় মাজারি ও তার স্বামীকে।
জানা যায়, ইংলিশ দল তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে ছিল এবং শেষ ম্যাচটি রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের ট্রাফিক প্রটোকলের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এসময় সড়ক পারাপার হতে রাজধানী ইসলামাবাদে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে এ দম্পতির ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ইসলামাবাদ জিরো পয়েন্ট ক্রসিংয়ে দলগুলোকে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় বলা হয়েছে, যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা করতে সফরকারী আন্তর্জাতিক দলগুলোর জন্য একটি রুট স্থির করা হয়। যারা রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদা উপভোগ করে। ঘটনার দিন ফয়সাল অ্যাভিনিউতে যাতায়াতের সময় ইমান বাধা সরিয়ে দেয় এবং সেখানকার জনগণকে উত্তেজিত করে।
ইমান মাজারি পাকিস্তানের আলোচিত অধিকার কর্মী ও আইনজীবী। তার মা রাজনীতিবিদ শিরিন মাজারি। ২০১৭ সালে ইমান সরকার এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চুক্তিতে সামরিক বাহিনীর জড়িত থাকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। ২০২০ সালে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা সাংবাদিকদের হয়ে লড়াই করে আলোচনায় আসেন তিনি।