সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

সৌদি আরবের কাছে ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল আরাবিয়াহ।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উপসাগরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য সৌদি আরবকে সাহায্য করার মাধ্যমে এই বিক্রয় মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যগুলোকে সমর্থন করবে’।
মধ্যপ্রাচ্যে যখন প্রচণ্ড সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোনো সময় ভয়াবহ যুদ্ধ শুরুর আশংকা করা হচ্ছে, তখন সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নতুন করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে যাচ্ছে।
চলতি মাসের ৭ অক্টোবর সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পেন্টাগননের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘প্রস্তাবিত ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষার শক্তি বৃদ্ধি করে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবেলার ক্ষমতাকে উন্নত করবে। সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীতে এই সরঞ্জাম ব্যবহার এবং পরিচালনায় কোন অসুবিধা হবে না’।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট প্রতিবেশী ইয়েমেন হামলা শুরু করে। এতে সৌদি জোট যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করত। হুতিদের সঙ্গে এ যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়। এতে মার্কিন প্রশাসন চাপে পড়ে।
এই অবস্থায় ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে সৌদিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কঠোর হন প্রেসিডেন্ট জো বাইেডন। এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে সৌদি ও হুতিরা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যায়।
চলতি বছরের আগস্টে জানা যায়, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু গোলাবারুদ সৌদিতে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির আলোকে ধাপে ধাপে এসব গোলাবারুদ সৌদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।