‘দানা’র প্রকোপে কলকাতা ও ওড়িশা বিমানবন্দরে পরিষেবা বাতিল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গপোসাগরে উদ্ভূত প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার আগমন এবং তার জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে ওড়িশার রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আর এই দুর্যোগের আশঙ্কায় এবার আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও।
সকাল থেকেই ভারতের কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ জায়গায় বাসিন্দাদের সরানোর কাজ আগেই শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে ‘দানা’। ওড়িশা-বাংলা উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিলোমিটার, ধামরা থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ওই ঘূর্ণিঝড়। ‘দানা’র প্রকোপ ওড়িশাতেই সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো প্রয়োজন। বাসিন্দাদের নিকটবর্তী ফ্লাড সেন্টারে পৌঁছানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে সময়সীমা বেধে দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
ওই রাজ্যের বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই সমস্ত এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরানো হয়েছে। ভুবনেশ্বরস্থিত বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে।