টানা ১ বছর ধরে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।  কবে এই যুদ্ধ থামবে তারও সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই।  গাজায় যুদ্ধ থামলে সেখানে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর চাপপ্রয়োগের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।  মস্কোতে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের এই অবস্থান তুলে ধরেন হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ হামাস নেতা বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্য নিয়ে কথা বলেছি এবং যুদ্ধের পরে গাজা উপত্যকা কীভাবে শাসন করা উচিত, এমন একটি সরকার গঠনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি’।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ বন্ধে পশ্চিমাদের ওপর তাৎপর্যমূলক চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ। কিছুক্ষেত্রে তাদের যুদ্ধ অবসানের জন্য যে আহ্বান, সেটা আত্মপ্রচারমূলক। 

আরআইএ বলেছে, হামাস নেতা মারজুক রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।  তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের মতো তৎপর নয়।  বরং কিছুক্ষেত্রে প্রায় নীরব ও চলমান আগ্রাসনকে পরোক্ষভাবে গ্রহণ করে নিয়েছে।  এমনকি গাজায় ইসরাইলে হামলার জন্য হামাসের দায় দেখেন মাহমুদ আব্বাস।  তার দাবি, হামাস ইসরাইলকে সুযোগ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের ব্যর্থতাকে দায়ী করে আসছে মস্কো।  আর পশ্চিমাদের কাছে হামাস হুমকি।  যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলে আসছে, যুদ্ধ শেষ হলে হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না।  এখন দেখার বিষয়, যুদ্ধবিরতি অর্জিত হলে কোন প্রক্রিয়ায় গাজা পরিচালিত হবে।