সিনওয়ারের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে ইসরাইলে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে ১১ বার মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন ব্লিঙ্কেন।
ব্লিঙ্কেন নেতানিয়াহুকে বলেন, হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে ইসরাইল যেন এখন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এ ছাড়া গাজায় আরও ত্রাণ প্রবেশ এবং মানবিক কর্মসূচির সুযোগ দিতেও নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল আরাবিয়াহ।
ব্লিঙ্কেন লেবাননে ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায় খোঁজার কথা তুলে ধরেন বৈঠক। এই বৈঠকের দিন বৈরুতের প্রধান সরকারি হাসপাতালের কাছে ইসরাইলি বিমান হামলায় চার শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ৬০জন আহত হয়।
গাজায় হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে সম্ভব বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্র। কিন্তু গাজা যুদ্ধ থামবে কবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা নেয় তেল আবিবের।
উল্টো হামাসের বিরুদ্ধে আরো হুমকি দিয়ে আসছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। শুধু তাই নয়, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবিক কর্মসূচি আটকে দিয়ে নৃশংস সামরিক চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এতে মনে হচ্ছে, সহসাই যুদ্ধ থামাবে না ইসরাইল।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্লিঙ্কেনের এই সফর থেকে যুদ্ধবিরতির ‘ফল’ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশরের মধ্যস্ততায় এর আগেও একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও কাজে আসেনি এসব পদক্ষেপ।
এছাড়া সিনওয়ার নিহত হলেও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কম বেশি হামাসের। কারণ, হামাস শুরু থেকে বলে এসেছে গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে হবে। হামলা অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলে আসছে, হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত গাজায় হামলা চলবে।
এখানে আরো একটি বিষয় মনে করিয়ে দেওয়ার, সিনওয়ার নিহতের পর থেকে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তিতে চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি করে এসেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তার কারণে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা সম্ভব হচ্ছিল না। এখন সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডের পর জিম্মি মুক্তির দাবিতে ইসরাইলে প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে।