
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
ইসরাইল-ইরান যুদ্ধের আশঙ্কা, যা ভাবছে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

আরও পড়ুন
চলমান পরিস্থিতিতে ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটাই বেশি এবং তুরস্কসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে সতর্ক করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে এক টেলিভিশন প্রোগ্রামে ফিদান বলেন, ‘ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধকে একটি উচ্চ সম্ভাব্য হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। তবে এটি এমন কোনো ব্যাপক বিষয় নয়, যা আমরা চাই। এ অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধের বিস্তার এবং অস্থিতিশীলতার সঞ্চার আমরা কামনা করি না’।
তুরস্ক কোনোভাবেই ইরানের সঙ্গে এমন কোনো সংঘাতকে সমর্থন করে না, যা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করে ফিদান বলেন, ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার থাকলে সেই অধিকার প্রয়োগ করা তার নিজস্ব ব্যাপার।
এদিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহতের দাবির বিষয়ে ফিদান বলেন, আঙ্কারা হামাস থেকে একটি নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে, যদিও বিষয়টি হামাস প্রত্যাখ্যান করেনি।
তিনি গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘একটি উন্মুক্ত কবরস্থান’ হিসাবে বর্ণনা করেন, যেখানে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন।
ফিদান আরও বলেন, তুরস্কের মূল্যায়ন অনুসারে ইসরাইল তার মুখোমুখি হওয়া হুমকিগুলোকে একে একে নির্মূল করার জন্য একটি সামরিক কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে। যার মধ্যে হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা অন্তর্ভুক্ত।
পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে ফিদান জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সহযোগিতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং এটি কেউ লাভজনক মনে করে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য পিকেকে-র সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করবে।
আঙ্কারা-এথেন্স সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে ফিদান উল্লেখ করেন যে, তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একটি প্রক্রিয়া চলছে এবং উভয় পক্ষই উত্তেজনা কমাতে সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই প্রক্রিয়া উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক ফলাফল বয়ে আনবে।
ন্যাটো প্রসঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি ন্যাটোকে শক্তিশালী করতে তুরস্ককে দুর্বল করতে পারবেন না।
একই সঙ্ঘে তিনি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা এবং সীমাবদ্ধতার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং ন্যাটোর প্রসঙ্গে আরও প্রগতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তুরস্কের ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ সম্পর্কে ফিদান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের প্রসারে ব্রিকসে আগ্রহ বাড়ছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
ঘটনাপ্রবাহ: ইরান ইসরাইল সংঘাত
আরও পড়ুন