গাজায় যুদ্ধবিরতিতে বাধা হয়ে ছিলেন সিনওয়ার: ইইউ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল দাবি করেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির পথে বাধা হয়েছিলেন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
কয়েক মাস আগে তেহরানে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ইসরাইল। এবার গোষ্ঠীটির নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে সরাসরি অভিযানে হত্যা করল ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।
গত এক বছর ধরে গাজায় নির্বিচার গণহত্যার না থামানোর জন্য পুরো বিশ্ব ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করে আসছে। কাতার, মিশরসহ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্ততাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের একগুয়েমির কারণে। তবে বোরেল দায় চাপালেন ইয়াহিয়া সিনওয়ারের কাঁধে।
হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। এসব দেশ বেশিরভাগই তেলআবিবের ঘনিষ্ট মিত্র। সিনওয়ারের মৃত্যুকে ইসরাইলের জন্য বড় সাফল্য বলে মনে করছে এসব দেশ।
ইইউর পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে ‘জরুরি প্রয়োজনে যুদ্ধবিরতি এবং সব জিম্মির নিঃশর্ত মুক্তির পথে বাধা ছিলেন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেন, ‘ইয়াহিয়া সিনওয়ার একজন ইইউর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন, জঘন্য ৭ অক্টোবর হামলার জন্য দায়ী’
বোরেল আরো বলেন, ‘সহিংসতার অবসান হতে হবে, জিম্মিদের মুক্তি (এবং) ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে’।
বুধবার এক অভিযানে ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার সিনওয়ারকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত–এর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ৮২৮তম ব্রিগেডের অভিযানে দক্ষিণ গাজায় তিনজনসহ নিহত হন সিনওয়ার। ওই তিনজনের মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে হামাস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।