ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
গত ১ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা গেলেও, বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে ইসরাইলের নেভাটিম সামরিক বিমান ঘাঁটিতে। এতে তেল আবিবের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলকে একের পর এক সামরিক সহায়তা এবং অর্থ যোগান দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ইসরাইলকে রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা ও সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রেসসচিব প্যাট রাইডার এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের নির্দেশ অনুযায়ী টার্মিনাল হাই–অ্যাল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যাটারি মোতায়েন ও সামরিক সদস্যদের ইসরাইলে পাঠানো হচ্ছে।
ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা অনেক পর্যায়ের রয়েছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে এবং ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এটি বিশেষ অস্ত্র। তবে টার্মিনাল হাই–অ্যাল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) সবচেয়ে আধুনিক এবং শক্তিশালী বলে ভাবা হয়। আর সেটিই ইসরাইলকে সরবরাহকে করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এমনিতেই ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম সিস্টেম’ গোটা বিশ্বের মধ্যে আধুনিক ব্যবস্থা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরবরাহ করা এই প্রযুক্তি তেল আবিবকে আরো বেশি সুরক্ষা দিবে।
ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
গত ১ বছর ধরে লেবানন থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রচুর রকেট হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তবে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কারণে বেশিরভাগ রকেট ভূপাতিত করা হয়। এমন ব্যবস্থার কারণে ক্ষেপণাস্ত্রও ঠেকানো যায়। আধুনিক সমরাস্ত্রের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায় বলে মনে করেন সমর বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর সব দেশের কাছেই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত শনাক্ত করে তা ধ্বংস করতে পারে এসব ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে থাডকে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে ফেলার ক্ষমতাসম্পন্ন এ ব্যবস্থা। এর সফলতার হারও প্রায় শতভাগ। উৎপাদন শুরুর পর থেকে ১৬ বার এ নিয়ে পরীক্ষায় এই ফল পাওয়া গেছে।