Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানি সম্পর্কে যা জানা গেল

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানি সম্পর্কে যা জানা গেল

বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য প্রধান হাশেম সাফিয়েদ্দিনকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। সেইদিনের পর থেকে সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করে। 

এবার জানা গেছে, সাফিয়েদ্দিনের পাশাপাশি ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানির খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর লেবাননে গিয়েছিলেন কানি। ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ইরান এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কানির। তবে নিখোঁজ সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে কানি ছিলেন, এটি অস্বীকার করেছে তারা। 

এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, নাসরুল্লাহকে হত্যার পর লেবাননে যান কানি। ইরানি কর্তৃপক্ষ সাফিয়েদ্দিনের বিরুদ্ধে হামলার পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি। এদিকে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত সাফিয়েদ্দিন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

২০২০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের তৎকালীন প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হন।  তিনি নিহত হওয়ার পর ইসমাইল কানিকে ইরানের রেভল্যুশনারি গাডর্স কোরের বৈদেশিক সামরিক গোয়েন্দা শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সেই পদে কানির কাজের একটি অংশ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে তেহরানের আধাসামরিক সহযোগীদের পরিচালনা করা।

বিশ্লেষকদের মতে, কানি কখনও তার পূর্বসূরি সোলাইমানিদের মতো একই রকমের সম্মান বা জনপ্রিয়তা লাভ করেননি। একইসঙ্গে আরব বিশ্বের ইরানের মিত্রদের মধ্যে একই রকমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও বজায় রাখেননি।

১৯৯৭ সালে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার হন কানি। তখন সোলাইমানি হন বাহিনীর প্রধান কমান্ডার।

দায়িত্ব গ্রহণ করেই কানি তার পূর্বসূরি সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন বাহিনীকে বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দেন। সোলেইমানির শেষকৃত্যের আগে রাষ্ট্রীয় রেডিও তেহরানে কানিকে উদ্ধৃত করে বলে, ‘আমরা একই শক্তিতে শহীদ সোলেইমানির পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি…এবং আমাদের একমাত্র ক্ষতিপূরণ হবে আমেরিকাকে এই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা।’

যদি শেষ পর্যন্ত কানির মৃত্যু নিশ্চিত হয়, সেক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খাবে তেহরান।  কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানপন্থি সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোকে অর্থ, সামরিক প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা করে থাকে কুদস ফোর্স।  বাহিনী প্রধানের মৃত্যুতে এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও ব্যাহত হবে।  কারণ ইসরাইলি হামলার মুখে নতুন করে সেখানে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে উঠেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম