সাফিয়েদ্দিনের পর এবার নিখোঁজ ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য প্রধান হাশেম সাফিয়েদ্দিনকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। সেইদিনের পর থেকে সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করে।
এবার জানা গেছে, সাফিয়েদ্দিনের পাশাপাশি ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানির খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর লেবাননে গিয়েছিলেন কানি। ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ইরান এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কানির। তবে নিখোঁজ সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে কানি ছিলেন, এটি অস্বীকার করেছে তারা।
দাহিয়েহ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এ কারণেই গত দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দিনের আলোতেই এখন কালো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে আছে শহরতলিটি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে এখানে হত্যা করে ইসরাইল।
এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, নাসরুল্লাহকে হত্যার পর লেবাননে যান কানি। ইরানি কর্তৃপক্ষ সাফিয়েদ্দিনের বিরুদ্ধে হামলার পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি। এদিকে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত সাফিয়েদ্দিন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সাফিয়েদ্দিনের খোঁজে যে এলাকাটিতে তল্লাশি চালাবেন হিজবুল্লাহর সদস্যরা, তা দ্রুত সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ইসরাইল নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে সেখানে।
২০২০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের তৎকালীন প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হন। তিনি নিহত হওয়ার পর ইসমাইল কানিকে ইরানের রেভল্যুশনারি গাডর্স কোরের বৈদেশিক সামরিক গোয়েন্দা শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
যদি শেষ পর্যন্ত কানির মৃত্যু নিশ্চিত হয়, সেক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খাবে তেহরান। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানপন্থি সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোকে অর্থ, সামরিক প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা করে থাকে কুদস ফোর্স। বাহিনী প্রধানের মৃত্যুতে এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও ব্যাহত হবে। কারণ ইসরাইলি হামলার মুখে নতুন করে সেখানে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে উঠেছে।