Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর দৃঢ় প্রতিরোধ, বহু হতাহত

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম

উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর দৃঢ় প্রতিরোধ, বহু হতাহত

ইসরাইলি বাহিনী রোববার উত্তর গাজায় নতুন একটি অভিযান শুরু করার পর সেখানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দৃঢ়ভাবে তাদের মোকাবিলা করছে এবং প্রবেশের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করছে।

এদিকে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় আগের একটি আক্রমণে আহত এক ইসরাইলি সেনা রোববার মারা গেছেন। একই সময়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীগুলো জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, তাদের যোদ্ধারা রোববার উত্তর গাজার বিভিন্ন ফ্রন্টে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। একই সঙ্গে আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা আল-কাসাম ব্রিগেডের সহযোগিতায় বেইত হানুনের পূর্বাঞ্চলে এক ইসরাইলি সেনাকে গুলি করে হত্যা করেছে।

অন্যদিকে আল-নাসের সালাহ আল-দিন ব্রিগেড এবং আবু আলি মুস্তাফা ব্রিগেড মিলে নেটজারিমের কাছাকাছি ইসরাইলি কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপনায় ভারি মর্টার শেল ছুঁড়েছে।

ইসরাইলি দখলদার বাহিনী এদিন উত্তর গাজায় নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে এবং সেখানে গণহত্যা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে সেখানকার জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করে লিফলেট ফেলছে।

ইসরাইলি বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাবালিয়া এলাকায় তাদের ১৬২তম ডিভিশন সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।

আল মায়াদিনের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করছে, যেখানে তীব্র লড়াই চলছে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা জাবালিয়া ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিরোধ করছে। অন্যদিকে বেইত লাহিয়ার তাল আল-জাতার এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে।

এদিকে গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেখানকার বাসিন্দাদের দক্ষিণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বরং আশেপাশের এলাকায় আশ্রয় নিতে বলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার বাহিনীর দাবি করা ‘নিরাপদ অঞ্চল’ আসলে মিথ্যা প্রলোভন। কারণ পুরো গাজা উপত্যকা আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং এমনকি শরণার্থীদের তাবু এলাকাগুলোতেও তারা গণহত্যা চালাচ্ছে।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজায় প্রবেশের আগে শনিবার দিবাগত রাতেও ৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় জাবালিয়া ক্লাবসহ অনেক ঘরবাড়ি ও শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল ধ্বংস হয়েছে। এই জাবালিয়া ক্লাবেই হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানও ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। যার ফলে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এছাড়াও ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে হাসান হামাদ নামে ২০ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

আরও একটি স্কুলে গণহত্যা

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী পূর্ব জাবালিয়া ক্যাম্পের শরণার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ঘিরে রেখেছে এবং সেখানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে ইবনে রুশদ স্কুল ও আল-আকসা শহিদ মসজিদে হামলা চালিয়েছে। এতে ২৬ জন নিহত এবং ৯৩ জন আহত হয়েছে। সূত্র: আল-মায়াদিন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম