ভারতে শুটিং রেঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি চায় দিল্লির ইসরাইলি দূতাবাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪০ এএম
মধ্যপ্রাচ্য ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি পুলিশের কাছে ‘অস্বাভাবিক’ অনুরোধ করেছে ভারতে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাস। নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য পুলিশের শুটিং রেঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে তারা।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথমবারের মত একটি দূতাবাস এই সুবিধা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। অনুরোধটি বর্তমানে পর্যালোচনাধীন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদরে এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
২৩ সেপ্টেম্বর, ইসরাইলি দূতাবাস থেকে একটি চিঠি পায় দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা বিভাগ ।যাতে কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে শুটিং রেঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পরে, এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অনুরোধটি দিল্লি পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের মতে, শুটিং রেঞ্জ নিউ পুলিশ লাইনে অবস্থিত এবং দিল্লি পুলিশ একাডেমি এটি পরিচালনা করে। দূতাবাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দিল্লি পুলিশের আওতাধীন। তাই ইসরাইলি দূতাবাসের অনুরোধের প্রাথমিক আবেদন সেখানে পর্যালোচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করার একটি দৃঢ় সম্ভাবনা রয়েছে।
‘এটি অবশ্যই প্রথমবার কোনো দূতাবাস আমাদের শুটিং রেঞ্জ ব্যবহার এবং প্রবেশাধিকার প্রদান করতে বলেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি, তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’।
উল্লেখ, দূতাবাসের চিঠিতে অনুরোধের কারণ বা প্রশিক্ষণে জড়িত নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
এ নিয়ে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এবং পুলিশের বিশেষ কমিশনারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একইভাবে, ইসরাইলি দূতাবাসও তাদের অনুরোধের পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করেনি। যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য প্রদান করেনি।
২০২১ সাল থেকে, নয়াদিল্লিতে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে দুটি কম-তীব্রতার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বছর ভারত এবং ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৯তম বছরপূর্তির দিন ইসরাইলি দূতাবাস থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর। এ দিন দূতাবাসের কাছে কম মাত্রার বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। উভয় ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলি দূতাবাসের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।