এনডিটিভির বিশ্লেষণ
ইরানের যে সব স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে ইসরাইল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ এএম
মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ইরান প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ছেে ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বেড়েছে। বুধবার তেল আবিবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যে ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে ইসরাইল।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
হামাস, হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা ও ইরানের কমান্ডারদের হত্যার জবাব হিসেবেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস। ৬ মাসের মধ্যে ইসরাইলে এটি ইরানের দ্বিতীয় হামলা। এর জেরে প্রতিশােধমূলক জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইসরাইল। মার্কিন প্রশাসনও বলছে, ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে।
ইরানের হামলার প্রেক্ষিতে ইসরাইলের জবাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে জাের জল্পনা চলছে। কারণ গত এপ্রিলে ইরানের হামলার চেয়ে এবারের ধরন একেবারে আলাদা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল সম্ভবত ইরানের প্রধান তেল উৎপাদনকারী স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এমনকি ইরানের বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে ইসরাইল। যদি সত্যিই এটি ঘটে, তবে এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইতোমধ্যেই চাপে থাকা ইরানের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এছাড়া ইরানের অবকাঠামো এবং জ্বালানি নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে। ইসরাইল ইরানজুড়ে অন্যান্য কৌশলগত অবস্থানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
এক বছর আগে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, এখন তা ছড়িয়েছে লেবাননে। এরমধ্যে ইসরাইলে ইরানের হামলা। মধ্যপ্রাচ্য এখন আরো বিপদজনক পরিস্থিতির দ্বারপ্রান্তে
ইসরাইল ইরানের কৌশলগত স্থাপনা জুড়ে বিমান হামলার বিকল্প বিবেচনা করবে। ইরানের অবকাঠামো ধ্বংস করার গোপন অভিযান শুরু করবে। যেভাবে তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছিল।
এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি (ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার) প্রতিক্রিয়া হবে খুবই কাঠামোগত, কৌশলগত এবং নির্ভুল আক্রমণ।’
জ্যেষ্ঠ ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের চরমপন্থি এবং মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হতে পারে’।
ইরানের জনগণের উদ্দেশে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরাসরি ভাষণ, ‘ইসরাইল আপনাদের পাশে আছে। আপনারা শীঘ্রই মুক্ত হবেন’। এর মানে ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়াস চালাচ্ছে ইসরাইল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও ইসরাইলি হামলার নিশানা হতে পারেন। এরইমধ্যে খামেনিকে অজ্ঞাতস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইসরাইলের সম্ভাব্য পাল্টা হামলা কীভাবে সামাল দেবে ইরান, এটাই এখন দেখার বিষয়।