ইসরাইলে ইরানের হামলা, যা বলল জর্ডান
ইসরাইলে মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় আরও বেশি সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইসরাইলের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া জর্ডান বলছে, তারা কারও যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।
জর্ডানকে মূলত পশ্চিমা মিত্র দেশ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গত এপ্রিলে ইসরাইলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে সাহায্য করছিল জর্ডান।
জর্ডানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী আম্মানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ পড়েছে।
দেশটির একজন মন্ত্রী মোহাম্মদ আল-মোমেনি আল-মালাকা টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, জর্ডানের অবস্থান সবসময়ই ছিল যে তারা কারও জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হবে না। জর্ডান এবং এর জনগণকে রক্ষা করা আমাদের প্রথম দায়িত্ব।
ক্ষেপণাস্ত্র এবং ধ্বংসাবশেষ পড়ে তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন আল-মোমেনি।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় সম্প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। আম্মানের উত্তর-পশ্চিমে বালকা গভর্নরেট থেকে একটি লাইভ প্রতিবেদনে একজন সাংবাদিক জানান, সেখানে ২ মিটার লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রের একটি টুকরো এসে পড়েছে।
আশ্রয়ে নেওয়ার আদেশ: জর্ডানের সামরিক বাহিনী দেশের জনগণকে বাড়িতে থাকতে এবং তার সব বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে।
জর্ডানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জর্ডানের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো হয়েছে।
এর আগে এপ্রিলের ১৩ তারিখে ইরান যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তখনও সেগুলো ঠেকিয়ে দিয়েছিল জর্ডান।
মঙ্গলবার রাতে ইরান যে হামলা চালিয়েছে তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি।
সিএনএন হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, নেভাতিম ঘাঁটিতে অন্তত কয়েক ডজন মিসাইল ছুড়েছে ইরান। যেগুলো একের পর এক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে দেখা গেছে।
সূত্র: সিএনএন