Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য নেপালকে দুষলেন মমতা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ এএম

পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য নেপালকে দুষলেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গে (বাংলা) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নেপালকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ‘ম্যান মেড বন্যার’ তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন।

রোববার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে বিকালে দমদম বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গের ‘দামোদর ভ্যালি করপোরেশনের’ (ডিভিসি) পানিতে যেমন ভেসেছে, উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর পানি ছেড়েছে। ৫ লাখ কিউসেক টন পানি ছেড়েছে। ওই পানি বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে।’ 

এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ডিভিসির ছাড়া পানিকে দায়ী করেছিলেন তিনি। 

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিনি বলেন, ‘একদিকে সঙ্কোচ নদীর পানি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বিধ্বস্ত, অন্যদিকে, নেপালের পানি বিহার হয়ে ঢুকছে, ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।’

ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং না করায় এখন বাংলার এ পরিস্থিতি বলে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আজকে ২০ বছর হয়ে গিয়েছে। ড্রেজিং করে না। ফরাক্কা যদি পানিটা রাখতে পারত, তাহলে বাংলায় এ পরিস্থিতি তৈরি হত না। তবে ড্রেজিং করলে রাখতে পারত, তাহলে মালদহ, সুতি, ফরাক্কায় বন্যা হত না। কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেটা করেনি। ফরাক্কা ব্যারেজ দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র দেখে। আগে ওরা ১২০ কিলোমিটার দেখভাল করত। এখন সেটা ২০ কিলোমিটার দেখে। কিছুই করে না।’

আলিপুরদুয়ার আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,  উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে, আগামী দু’তিন দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে।  আগামী ২ অক্টোবর থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। মহালয়া দিনে দক্ষিণবঙ্গে হালকা মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারি বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।  উত্তরবঙ্গে উত্তরের জেলাগুলিতে মহালয়া দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। যেহেতু বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে, তাই নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই।

ইতিমধ্যেই ফুলাহারে জলে প্লাবিত রতুয়া, মানিকচক। গঙ্গার জলে গত দেড় মাস ধরে প্লাবিত ভূতনি। মহানন্দার জলে ডুবে রয়েছে ইংরেজবাজারও। ফলে মালদহের দুর্দশা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। - সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যম

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম