নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ‘করপোরেট বিভাজন’ চরমে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই দেশটির রাজনৈতিক বিভাজন ক্রমশ বাড়ছে। সাধারণত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ হওয়া অস্বাভাবিক নয়, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। তবে এবার আমেরিকার করপোরেট জগতের মধ্যেও একটি বড় বিভাজন দেখা দিয়েছে।
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিনিরা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন। যেখানে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এখানে বিভাজনটাও তাই পরিষ্কার- ‘লিবারেল ও বামপন্থি’ কমলা হ্যারিস বনাম ‘রক্ষণশীল ও ডানপন্থি’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে করপোরেট আমেরিকার মধ্যেও দেখা দিয়েছে এই বিভাজন!
প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে বিভক্তি
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকার বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে যোগ দিচ্ছে। মাইক্রোসফট, গুগল (অ্যালফাবেট), আমাজন এবং সান মাইক্রোসিস্টেমসের কর্মচারীরা কমলা হ্যারিসের প্রচারে মিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
ওপেনসিক্রেটসের তথ্য অনুসারে, ট্রাম্পের প্রচারের তুলনায় হ্যারিসের প্রচারে অনেক বেশিই অনুদান মিলেছে।
অন্যদিকে, ইলন মাস্ক এবং মার্ক জুকারবার্গ ট্রাম্পের পক্ষে জোরালোভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন। আর ইলন মাস্ক তো প্রতি মাসেই ট্রাম্পের প্রচারের জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলার দান করছেন বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ব্যাংক ও তেল কোম্পানির সমর্থন
ব্যাংক এবং তেল কোম্পানিগুলো অবশ্য ট্রাম্পের দিকেই ঝুঁকছে। কারণ তিনি কর ও নিয়ন্ত্রণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তেলের বড় কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের কাছ থেকে বড় খননের জন্য ইঙ্গিত পেয়েছে এবং তিনি জীবাশ্ম জ্বালানির পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন
ওপেনসিক্রেটসের রাজনৈতিক তহবিল বিশ্লেষণ অনুসারে, বিভিন্ন করপোরেশন ও ব্যক্তিরা কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরে বিপুল অর্থ দিয়েছে। যা নির্বাচনকালে করপোরেট আমেরিকার বড় বিভাজনকে আরও সুস্পষ্ট করে তুলেছে। সূত্র: এনডিটিভি