শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
![শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/09/25/harini-a-66f422a008578.jpg)
শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হরিণী অমরাসুরিয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির বামপন্থি প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। মঙ্গলবার শ্রীলংকার ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির ১৫তম প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অমরাসুরিয়া।
শ্রীলংকার ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন অমরাসুরিয়া। তিনি চার বছর আগে প্রথম সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ প্রধানের পাশাপাশি বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাকে। রাজনৈতিক কেরিয়ারের পাশাপাশি তিনি একজন অধিকারকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে শ্রীলংকার উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
অমরাসুরিয়া লিঙ্গসমতা, সংখ্যালঘু অধিকার, বেকারত্ব নিরসন, শিশু সুরক্ষা ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংক্রান্ত তৎপরতায় সক্রিয় ছিলেন। শনিবারের নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন শ্রীলংকার বাম জোট নেতা অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন তিনি। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন দীনেশ গুণবর্ধন।
৫৪ বছর বয়সি ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) নেতা প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে আপাতত চারজনের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। এর মধ্যে অমরাসুরিয়াকে বিচার, শিক্ষা, শ্রম, শিল্প, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রীর দপ্তর দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে শ্রীলংকায় আগাম সাধারণ নির্বাচনের পথ তৈরি করার লক্ষ্যে দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া। মঙ্গলবার এক সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আদেশ দেন অনূঢ়া। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চীনপন্থি হিসাবে পরিচিতি। আর সংসদ ছিল ভারতপন্থিদের দখলে।
এই সংসদ ভেঙে দেওয়ার ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে ভারতীয়দের কপালে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অনূঢ়া। আর ২১ নভেম্বর পরবর্তী পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করা হবে।