ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় প্রধান কমান্ডার নিহত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় প্রধান কমান্ডার নিহত
বৈরুতের শক্তিশালী ঘাঁটিতে এর আগের দিন ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর ১৬ যোদ্ধার মধ্যে একজন দ্বিতীয় সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। এ হামলা তাদের সামরিক নেতৃত্বের ওপর আঘাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হিজবুল্লাহ দ্বিতীয় কমান্ডারের নাম আহমেদ মাহমুদ ওয়াহবি।
ইসরাইল বলেছে, শুক্রবার লেবাননের রাজধানীর দক্ষিণ উপশহরে হামলায় হিজবুল্লাহর শ্রেষ্ঠ বাহিনী রাদওয়ান ফোর্সের প্রধান ইব্রাহিম আকিল এবং আরও কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
এই সপ্তাহে যোগাযোগ মাধ্যমের যন্ত্রে নাশকতামূলক হামলায় হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ৩৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে। তার ওপর এই হামলায় ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং তাদের যোদ্ধাদের মনোবলের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানে।
হিজবুল্লাহ তাদের দ্বিতীয় কমান্ডার আহমেদ মাহমুদ ওয়াহবির নাম প্রকাশ করেছে। তারা বলে, তিনি অক্টোবরে গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে এই বছরের শুরু পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের গোষ্ঠীর অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
১৯৮৩ সালে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোমা হামলায় জড়িত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চিহ্নিত আকিলের মৃত্যুর বিষয়টি হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করে। হিজবুল্লাহ তাকে তাদের মহান নেতাদের একজন বলে প্রশংসা করে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের হামলার ফলে একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে এবং একটি উঁচু ভবনের নিচের তলাগুলো আগুনে পুড়ে গেছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল হিজবুল্লাহর সামরিক নেতৃত্বের ওপর দ্বিতীয় ইসরাইলি হামলা। জুলাই মাসে বৈরুতে একটি ইসরাইলি হামলায় আন্দোলনটির শীর্ষ অপারেশন প্রধান ফুয়াদ শুকুর নিহত হন।
এ হামলাটি মঙ্গলবার ও বুধবার হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত পেজার এবং দ্বিমুখী রেডিওতে নাশকতামূলক হামলার ঠিক পরে করা হয়। আগের দুইটি হামলায় ৩৭ জন নিহত হয় এবং এতে একটি বড় রকমের যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা আকিলের বিরুদ্ধে একটি টার্গেটেড হামলা পরিচালনা করে। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলে, এ হামলায় রাদওয়ান ফোর্সের মোট ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, আকিল নিহত হওয়ার সময় কমান্ডারদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ছিলেন।
গত বছর ৭ অক্টোবরের হামলার মাধ্যমে হামাস বিদ্রোহীরা গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে ইসরাইলি সেনা এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
প্রায় এক বছর ধরে ইসরাইলের অস্ত্রশক্তির লক্ষ্যস্থল ছিল গাজা। কিন্তু হামাস অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ায় সেই মনোযোগ এখন ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তের ওপর এসেছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে