ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ জানালেন জেলেনস্কি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখে ইউক্রেনে চলমান সংকটের মধ্যে ‘ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট’-এর বদলে স্থায়ী শান্তির পরিকল্পনা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আগামী সপ্তাহে তিনি ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন। এর আগে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে দৈনিক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, দেশে শান্তি ফেরানোর রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে৷ অনেক আলাপ আলোচনার পর বিস্তারিত এ রূপরেখা প্রস্তুত হলো৷ সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
গত মাসেই জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে সেই পরিকল্পনা পেশ করার অঙ্গীকার করেছিলেন৷
প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনো কিছু জানাননি৷ তবে তার দেশ প্রায় আড়াই বছরের যুদ্ধ অবসানের কোন কোন পূর্বশর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত, সেই পরিকল্পনা তা ইঙ্গিত করবে৷
আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের প্রতি কী মনোভাব দেখাবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে৷
ট্রাম্প আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনের অবস্থান আরো দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ভাবছে রুশ নেতৃত্ব৷ এমন প্রেক্ষাপটে শান্তির বিষয়ে রাশিয়া কতটা আগ্রহ দেখাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন রাশিয়ার সৈন্যদের নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার জবাবদিহিতার শর্ত আরোপ করেছিল৷ চলতি বছরেই রাশিয়ার অংশগ্রহণসহ আরও এক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চলছে৷ জেলেনস্কি নভেম্বর মাসেই এমন সম্মেলনের পূর্বাভাস দিয়েছেন৷
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷
ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা৷ রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷
জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে রাশিয়ার মনোভাব কী হবে, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে৷ নীতিগতভাবে শান্তির প্রস্তাবে সায় দিলেও ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করার পর মস্কো আলোচনা সম্পর্কে অনীহা দেখাচ্ছে৷ ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনাও রাশিয়া বারবার উড়িয়ে দিয়েছে৷ সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।