সৌদি চিত্রশিল্পী সাফিয়া বিনজাগর আর নেই
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
![সৌদি চিত্রশিল্পী সাফিয়া বিনজাগর আর নেই](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/09/13/Safeya-Binzagr-66e43d85f2ea9.jpg)
সৌদি আরবের চিত্রশিল্পী সাফিয়া বিনজাগর আর নেই। বৃহস্পতিবার জেদ্দায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে আরব নিউজ তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে।
১৯৪০ সালে জেদ্দার আল বালাদে জন্মগ্রহণকারী বিনজাগর একজন অগ্রগামী চিত্রশিল্পী ছিলেন। তিনি বেড়ে ওঠেন মিসরের কায়রোতে। মিসর ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিনি পড়াশোনা করেছেন। লন্ডনের সেন্ট মার্টিন স্কুল অব আর্ট থেকে ১৯৭৬ সালে তিনি স্নাতক হন। পরবর্তী সময় সৌদি আরবে বসবাস শুরু করেন। তবে অন্য দেশে বেড়ে ওঠার কারণে সৌদি আরবকে তিনি একজন বিদেশির চোখে দেখতেন।
২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বিনজাগর বলেছিলেন, ‘মিসরের কায়রোতে বড় হওয়ার কারণে, সৌদি আরবের শুরুর দিনগুলোতে আমাকে অনেক কিছু জানতে হয়েছে। একটি রাজ্য হিসেবে একত্রিত হওয়ার আগে সৌদি আরবের জীবন সম্পর্কে আমার কোনো জানাশোনা ছিল না।’
তবে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী জীবনই ছিল সাফিয়া বিনজাগরের আঁকা ছবিগুলোর প্রধান বিষয়বস্তু। সৌদি শিশুদের খেলা, বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান এবং কারুশিল্পের নানা উপাদান তার ছবিগুলোতে দেখা যায়।
দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনজাগরের ছবিগুলোতে সৌদি আরবের যেসব বিষয় উঠে এসেছিল, সেগুলো মূলত তার সময়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। ফলে সৌদি আরবের নানা ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার আগে সেগুলোকে নথিভুক্ত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন বিনজাগর। তিনি আরব উপদ্বীপের লিখিত ইতিহাসের অভাব সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন।
বিনজাগর সৌদি আরবের উপজাতিদের বৈচিত্র্য এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের বিভিন্ন রূপের প্রতিও গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন। তিনি এসব পোশাকের নমুনা গবেষণা এবং এগুলোকে সংগ্রহ করার জন্য দেশজুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন আঞ্চলিক পোশাক নিয়ে জলরঙে আঁকা দীর্ঘ-চলমান সিরিজ ছিল।
জলরং ছাড়াও প্যাস্টেল, কাঠকয়লা, এচিং এবং কাঠের পেইন্টিংয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন বিনজাগর। ১৯৯৫ সালে তিনি ‘দারাত সাফিয়া বিনজাগর’ খোলেন। সেই সময়ে এটিই ছিল সৌদি আরবের প্রথম এবং একমাত্র আর্ট মিউজিয়াম।