মোদিকে ‘ক্লাউন’ বলা সেই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্য এবং তাকে ‘ক্লাউন’ হিসেবে উল্লেখকারী মালদ্বীপের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দপ্তরে নিজ নিজ পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
মারিয়াম শিউনা এবং মালশা শরিফ নামের ওই দুই মন্ত্রী তাদের পদত্যাগ পত্রে বলেছেন, তারা ব্যক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালদ্বীপ সরকারের এক কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম উইয়নকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভ্রমণ শেষে ফিরে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বীপটির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি।
তার সেসব ছবি শেয়ারের পর পরই শোরগোল পড়ে যায় মালদ্বীপের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশটির সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি এতে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তা-মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
তাদের অভিযোগ, ভারতীয় পর্যটকরা যেন মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপকে নিজেদের পর্যটনগন্তব্য হিসেবে বেছে নেন- পোস্ট করা ছবির মাধ্যমে সেই বার্তাই দিয়েছেন মোদি।
তাদের সে অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে সরব হন ভারতীয় নেটিজেনরাও। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন তারা। এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ‘বয়কটমালদ্বীপ’ হ্যাশট্যাগে রীতিমতো সয়লাব হয়ে যায়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে।
এত দিন বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পর্যটকরা মালদ্বীপে যেতেন, তাদের অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়। কিন্তু মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। ফলে শুধু পর্যটনখাত নির্ভর এ দেশটির অর্থনীতির মূলে আঘাত আসে।
এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে মোদিকে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য এবং তাকে ‘ক্লাউন’ বলে উল্লেখ করার অভিযোগ ওঠে।
তারা হলেন- মারিয়াম শিউনা, মালসা শরিফ এবং মাহজুম মজিদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর বক্তব্যের অভিযোগে এ তিন জনকেই গত জানুয়ারি মাসে সাসপেন্ড করা হয়।
তাদের মধ্যে মারিয়াম ও মালসা মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি নিলেন মঙ্গলবার। তবে মাহজুম মাজিদ এখনও পদত্যাগপত্র জমা দেননি। সূত্র: উইয়ন, এএফপি