Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

কমলা-ট্রাম্পের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে বিতর্ক

Icon

নোমান সাবিত, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম

কমলা-ট্রাম্পের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে বিতর্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি বিতর্কে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, অভিবাসন, গর্ভপাতসহ নানা বিভিন্ন। বিতর্ক চলাকালীন পরস্পরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন একে অপরকে। 

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় নির্বাচনি বিতর্কে কমলা ও ট্রাম্প মুখোমুখি হন। বিতর্ক মঞ্চে উঠেই ট্রাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেন কমলা। দুজন করমর্দন করেন। এরপর কমলার বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজক মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজ। বিতর্কের সঞ্চালক ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস।

করমর্দনের মাধ্যমে এ বিতর্ক শুরু হলেও প্রথম প্রশ্ন ছিল অর্থনীতি নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বিতর্কের শুরুতেই তারা অর্থনীতি নিয়ে একে অপরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

প্রথম প্রশ্নটি হল-অর্থনীতির ক্ষেত্রে ‘আপনি কি বিশ্বাস করেন যে আমেরিকানরা চার বছর আগের চেয়ে ভালো আছে? প্রথমে উত্তর দেন হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে তিনি সবার জন্য সুযোগ তৈরি করতে চান। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি। তিনি নতুন পরিবারের জন্য (যারা নতুন পারিবারিক জীবন শুরু করেছেন) তাদের জন্য আবাসনের খরচ কমিয়ে আনতে চান।

কর কমানোর বিষয়ে ট্রাম্পকে আক্রমণ করেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ‘আগে যা করেছেন তা করার’ এবং ‘ধনকূবের এবং করপোরেশনগুলোর জন্য ট্যাক্স কাটছাঁট’ করার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যে করের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতিতে আমেরিকানরা ‘নিত্যদিনের পণ্যের’ উপর কর দিতে বাধ্য হবে।

কমলা হ্যারিস বলেন, ট্রাম্প আমাদের কর্মস্থানের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্য রেখে গেছেন। আমরা যা করেছি তা হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের খারাপ অবস্থা পরিষ্কার করেছি। ‘প্রজেক্ট ২০২৫ এর কথাও উল্লেখ করেছেন। কমলা একে ‘বিপজ্জনক পরিকল্পনা’ বলে অভিহিত করেছেন।

বিতর্কের শুরুতে ট্রাম্পকে আক্রমণ করে কমলা বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার সময়ে আমাদের কর্মসংস্থানকে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন। বেকারত্বের হার ছিল মন্দার পর সবচেয়ে বাজে অবস্থায়। কমলা ভোটারদের বলেন, ‘আপনাদের জন্য ট্রাম্পের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, তিনি আপনার খোঁজ করার চেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে বেশি আগ্রহী।’

উপস্থাপক কমলা হ্যারিসের কাছে জানতে চান, ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিচালনা এবং কীভাবে তিনি এ অচলাবস্থা নিরসনে কাজ করবেন। কমলা হামাস-ইসরায়েল ইস্যুতে তার আগের কিছু মন্তব্যের পুণরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে এটি কীভাবে তা করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত। এটা অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত।’

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে কমলা বলেন, গাজা পুনর্গঠনের জন্য দুই রাষ্ট্রই সমাধান। যুদ্ধে ইউক্রেনের জয় চান কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান এই যুদ্ধ বন্ধ হোক।

ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উভয়কেই খুব ভালো করে চেনেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয় নিয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপ অনেক কম অর্থ প্রদান করছে।

কমলা হ্যারিস বলেন, এ দেশে এমন কোনোও রাজ্য নেই যেখানে একটি শিশুর জন্মের পরে হত্যা করা বৈধ। ট্রাম্পের অভিযোগের পরে মডারেটর প্রশ্ন ছুড়েন কিছু রাজ্য শিশুদের জন্মের পরে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার অনুমতি দেয়। এরপরই কমলা হ্যারিস এ কথা বলেন।

হ্যারিস উল্লেখ করেন, ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টে যে তিন বিচারপতিকে নিয়োগ করেছিলেন দুই বছর আগে তাঁরা নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।

ট্রাম্পের উদ্দেশে কমলা বলেন, আপনি বলেন, মানুষ এটাই চেয়েছিল? কিন্তু এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, পার্কিং লটে গাড়িতে সন্তানসম্ভবা নারীদের রক্তপাত হয়েছে। কারণ, তারা গর্ভপাত করার অনুমতি পাননি। নারীদের কথা উল্লেখ করে আবেগপ্রবণ হয়ে কমলা বলেন, ‘তারা এটা চায় না’।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি বিতর্কে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়টি উঠে এসেছে। দুই প্রার্থী একে অপরের দলের নীতিকে দোষারোপ করেছেন।

উপস্থাপক গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান সুষ্পস্ট করার আহ্বান জানান। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘ডেমোক্রেটরা নয় মাসের গর্ভাবস্থায় গর্ভপাতের অধিকার দিতে চায়।’

ট্রাম্প বলেন, গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে ডেমোক্রেটদের অবস্থান বেশ জোরালো। এমনকি কমলা হ্যারিসের রানিং মেট টিম ওয়ালজ নয় মাসের গর্ভাবস্থায়ও গর্ভপাতের অধিকার দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন। নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার অধিকার অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘কিছু কিছু অঙ্গরাজ্য জন্মের পর নবজাতককে হত্যার অনুমতি দেয়।’ ট্রাম্পের এমন কথার পর উপস্থাপক বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন কোনো অঙ্গরাজ্য নেই যেখানে জন্মের পর কোনো শিশুকে হত্যা করা বৈধ।’

যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের জন্য ট্রাম্পকে দুষলেন কমলা হ্যারিস। তিনি ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ট্রাম্প বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তিনি বাস্তবতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

কমলা আরও বলেন, এটা খুবই জানা বিষয় যে, তিনি (ট্রাম্প) স্বৈরশাসকদের প্রশংসা করেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই একজন স্বৈরশাসক হতে চান।

কমলা হারিসের তীব্র সমালোচনার জবাব দেন ট্রাম্প। তিনি অন্য দেশের ওপর শুল্ক বসানোর পরিকল্পনার কথা জানান। চীনের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রশাসন দেশটির (চীনের) কাছ থেকে ‘বিলিয়ন’ শুল্ক এনেছিল। এমনকি ক্ষমতা ছাড়ার পরও শুল্ক এসেছে।

১৭৮৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের পূর্ণ সমর্থন পেয়ে প্রেসিডেন্ট হন জর্জ ওয়াশিংটন। ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি।

আমেরিকার ইতিহাসে গ্রোভার ক্লেভল্যান্ড একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি প্রথম চার বছর হোয়াইট হাউসে থাকার পর হেরে গিয়ে আবার ৪ বছর পর ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট হন। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্পের সামনে ক্লেভল্যান্ডকে ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। এরপর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। এবার আবার রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। জিতলেই ছোবেন ক্লেভল্যান্ডকে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে ভোট দেন না ভোটারেরা। তাঁরা ইলেক্টরাল কলেজের সদস্যদের ভোট দেন। ইলেক্টরাল কলেজের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। তাঁদের ভোটকে বলা হয় ইলেক্টোরাল ভোট। ইলেক্টোরাল ভোট আছে মোট ৫৩৮টি। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০টি ভোট পেতে হয়।

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনোও প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে প্রথমবার নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজক মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ-এর আয়োজনে এ বিতর্ক এবিসি নিউজ ছাড়াও বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরসহ বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম বিতর্কটি সরাসরি সম্প্রচার করছে। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীর এই বিতর্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে লড়তে চেয়েছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৮১ বছর বয়সী বাইডেন গত ২৭ জুন রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেন।

বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হন বাইডেন। তাঁর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর ওপর চাপ বাড়ে। চাপের মুখে তিনি গত ২১ জুলাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দলের নতুন প্রার্থী হিসেবে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।

গত ১৮ জুলাই মিলওয়াউকিতে রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণ করেন ট্রাম্প। আর গত ২২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় ডেমোক্রেটিক পার্টির চার দিনের জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে কমলা আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ।

এদিকে, বিতর্কের আগে একাধিক জরিপে দেখা যায়, জনপ্রিয়তায় কমলা ও ট্রাম্প সমানে সমান। শেষ পর্যন্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো নির্বাচনের ফলাফল ঠিক করবে। এই বিতর্কের সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে কোন প্রার্থী এসব অঙ্গরাজ্যের ভোট বেশি টানতে পারছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বিতর্কের শুরুতেই তাঁরা অর্থনীতি নিয়ে একে অপরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।

বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একজন ‘অস্তিত্বহীন’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের এ বক্তব্য পাল্টা আক্রমণে উড়িয়ে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

বিতর্কে বাইডেনকে উদ্দেশ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা বলেন, ‘নির্বাচনে আপনি বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়ছেন না, আপনি লড়ছেন আমার বিরুদ্ধে।’

বিতর্কের একপর্যায়ে রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে কমলা হ্যারিস বলেন, তাঁর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই এতে আমাদের ন্যাটো (পশ্চিমা সামরিক জোট) মিত্ররা খুবই কৃতজ্ঞ।’

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা বলেন, ‘অন্যথায় পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) কিয়েভে (ইউক্রেনের রাজধানী) বসে ইউরোপের বাকি অংশের ওপর নজর দিতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন একজন স্বৈরশাসক। তিনি সহজেই আপনাকে (ট্রাম্প) কবজা করে ফেলবেন।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, কমলা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। কমলা প্রেসিডেন্ট হলে দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ-এর আয়োজনে এই বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্কের একপর্যায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব কথা বলেন।

ট্রাম্প বলেন, তিনি ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তার বিশ্বাস, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে এখন থেকে দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে না। ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কীভাবে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করবেন, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বেসামরিক মানুষদের ফিরিয়ে আনবেন? জবাবের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরু হতোই না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম