বাংলাদেশিসহ ২৮ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশিসহ ২৮ হাজার ৬২৫ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজা শেষ হওয়ার পর তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
গতকাল রোববার দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজা শেষে তাদের নিজ নিজ জাতীয় দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাই পাস পাওয়ার পর আকাশ ও স্থলপথে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সংখ্যায় কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে এখনও ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৬,০৭২ জন অভিবাসী আটক রয়েছেন। তাদের সাজা শেষে নিজ নিজ জাতীয় দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাই পাস পাওয়ার পর ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
বিবৃতিতে আরো বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া জুড়ে পরিচালিত ১৩ হাজার ৮৩৩ টি অভিযানে মোট ১১৯,৭২০ বিদেশীর কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যাদের কাগজপত্র নেই এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩২ হাজার ৪৪৫ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া চালিত অভিযানে অবৈধ অভিবাসীকে নিয়োগ ও সুরক্ষা দেয়ার অপরাধে ১ হাজার ৮৭ জন নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রুসলিন জুসোহ বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের মূল কাজ হলো নিয়োগকর্তাকে চিহ্নিত করে আইনে আওতায় নিয়ে আসা। এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রুসলিন জুসোহ বলেছেন, একজন মালয়েশিয়ান কোনোভাবেই অবৈধ বিদেশিকর্মী নিয়োগ করতে পারে না। তাদের উচিত বৈধকর্মী নিয়োগ করা। কিন্তু তারা অবৈধ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করে। এমনকি তাদের আশ্রয় দেয়। এজন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করে ১,০৮৭ জন নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করেছি।
বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীদের যারা সুরক্ষা ও কাজ দিচ্ছে তারা আমাদের দেশের জনগণ এবং নিয়োগকর্তা। তারা যদি তাদের আশ্রয় ও কাজ না দিত তাহলে এত সংখ্যক অবৈধ বিদেশি থাকতো না। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ান নাগরিকদের সচেতন থাকতে হবে।
সম্প্রতি অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ পেয়েছি। অনেক বিদেশিকর্মী এদেশের রেস্তোরাঁয় কাজ করছে। আমরা যখন অভিযান পরিচালনা করি তাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাই না। তারা বলে নিয়োগকর্তা দায়িত্ব নিয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অভিবাসীকর্মী নিয়োগ ও আশ্রয় দিয়ে নিয়োগকর্তারা অনেক বড় ভুল করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইমিগ্রেশন বিভাগ এ বিষয়ে মোটেই আপস করবে না।