ইসরাইলি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি
হামাসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আশাব্যঞ্জক নয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
হামাসসহ গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী নয় বলে দাবি করেছেন কয়েকজন ইসরাইলি ও মার্কিন কর্মকর্তা। তবুও ওয়াশিংটন শীঘ্রই একটি নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করতে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি নতুন প্রস্তাব খসড়া করছে, যা তেল আবিব এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। যদিও এ চুক্তি চূড়ান্ত করার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানা গেছে।
ইসরাইলি ও মার্কিন কর্মকর্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবকে ‘শেষ সুযোগের প্রস্তাব’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এটি রোববার বা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপস্থাপন করা হতে পারে।
প্রস্তাবের অন্যতম প্রধান বিষয় হলো- গাজার ফিলাডেলফিয়া করিডোর। যেটি মূলত মিশর এবং গাজার মধ্যবর্তী সীমানায় অবস্থিত।
এছাড়া বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনার মধ্যে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি বয়স্ক ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা নিয়েও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে হামাস তাদের পুরানো শর্তগুলো থেকে পিছু হটছে না এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক বন্দির মুক্তির দাবির বিষয়ে অটল।
ইসরাইলের অনুমান, গাজায় হামাসের হাতে এখনও ১০০ জনের বেশি ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে কিছু বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর মাসের পর মাস চেষ্টা করেও ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বন্ধে অনীহাই মূলত এ মধ্যস্থতাকারী প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যাহত করেছে।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি তুলেছে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ব্যানার, ইসরাইলি পতাকা এবং হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের ছবি হাতে নিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনের চারপাশে জড়ো হয়। তাদের দাবি, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্দি বিনিময় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ বিক্ষোভ ইসরাইলে চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনার প্রতিফলন। যেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলন দিন দিন বেড়েই চলছে।
বিক্ষোভকারীদের মতে, গাজায় চলমান সংঘর্ষে মানবিক বিপর্যয় বাড়ছে এবং বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘর্ষের অবসান ঘটানো প্রয়োজন।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯৪ হাজার ৭শ জন আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি