গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৫, পোলিও টিকার জন্য যুদ্ধে বিরতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একাধিক স্থানে পৃথক হামলায় তারা নিহত হন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তবে এদিন পোলিও টিকা দেওয়ার জন্য সেখানে তৃতীয় দিনের মতো যুদ্ধে সংক্ষিপ্ত বিরতি দিয়েছে ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের দমকল বাহিনী জানিয়েছে, এদিন যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে রাফার চার নারী রয়েছেন। গাজা সিটির একটি হাসপাতালের কাছে নিহত হয়েছেন আরও আটজন।
চিকিৎসা কর্মীরা জানান, একইদিন পরে গাজা সিটির ওমর আল-মোখতার সড়কের একটি বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নয় ফিলিস্তিনি নিহত হন।
শহরটির উত্তরাংশের শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি কলেজের কাছেও বিমান হামলা চালানো হয়। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, সাবেক নামা কলেজের এক অংশে হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়, সেখান থেকে হামাসের যোদ্ধারা তৎপরতা চালাচ্ছিল।
অন্য সবাই গাজার বিভিন্ন অংশে পৃথক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা সিটির আল-আহলি আরব হাসপাতালের কাছে একটি কমান্ড সেন্টারে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ আট ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে। হামাসের নিহত এই কমান্ডার ৭ অক্টোরর ইসরায়েলের চালানো হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে বাহিনীটি বলেছে, গাজা সীমান্তে নিকটবর্তী ইসরায়েলের নেতিভ হাআসারা আবাসিক এলাকায় ‘হামাসের সন্ত্রাসীরা বেসামরিকদের নির্বিচার হত্যা করেছিল’ আর তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা আহমেদ ফোজি নাজের মুহম্মদ ওয়াদিয়া।
রয়টার্স বলছে, ইসরাইলি বাহিনীর এই বিবৃতি নিয়ে হামাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখাগুলো জানিয়েছে, তারা গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা ও খান ইউনিসে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।
তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার গাজায় পোলিও টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে থাকার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পোলিও টিকার তৃতীয় দিনে ১০ বছরের কম বয়সী প্রায় এক চতুর্থাংশ শিশুদের টিকা দিয়েছে সংস্থাটি৷
গত মাসে গাজায় এক শিশুর দেহে পোলিওর উপস্থিতি ধরা পড়ার পর তড়িঘড়ি করে এ টিকাদান কর্মসূচির পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই টিকাদান কমর্সূচি সফল করতে ইসরাইলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধারা প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে লড়াইয়ে বিরতি দিতে সম্মত হয়েছে।