ইসরাইলের অন্দরমহলে গভীর হচ্ছে ফাটল
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরাইলের আবারও অন্দরমহলে দেখা দিয়েছে ফাটল। যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। কোনো চুক্তির অংশ হিসাবে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরাইলি সেনারা সরে যাবেন কি-না, এমন প্রশ্নে তর্ক করেন নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। সিএনএন।
বর্তমানে ফিলাডেলফি করিডর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর গাজা-মিসর সীমান্তে অবস্থিত। গাজায় যুদ্ধবিরতি চলাকালে এই করিডরে ইসরাইলি সেনা মোতায়েন রাখা নিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতি চলাকালে সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নিতে হবে। বৈঠকে নেতানিয়াহু একটি ম্যাপ দেখিয়ে বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ফিলাডেলফি করিডরে ইসরাইলি সেনা মোতায়েন করে রাখতে চান। তখন গ্যালান্ট বলেন, এতে হামাস একমত হবে না। ফলে তারা কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাবে না। এর জেরে জিম্মি ব্যক্তিদেরও ইসরাইলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের মধ্যে বেশ কিছু সময় তর্কবিতর্ক চলে। একপর্যায়ে গ্যালান্ট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই যেহেতু সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তিনি সব জিম্মিদের হত্যার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
৩০টি মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’পরে নেতানিয়াহুর উপস্থাপন করা ম্যাপের অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। নেতানিয়াহুর পক্ষে ভোট পড়ে আটটি। বিপক্ষে ভোট দেন শুধু গ্যালান্ট। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের হামলা চালিয়ে প্রায় আড়াইশ জনকে জিম্মি করে হামাস। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন। সেদিন থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৯১ জন নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ।